Connect with us

দেশজুড়ে

মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ছাড়বে না : রুমিন ফারহানা

Published

on

আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। রক্ষীবাহিনী দিয়ে দেশের মানুষকে অত্যাচার করেছিল। যার কারণে ২১ বছর ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এইবার যদি ক্ষমতা থেকে বাদ যায় তাহলে ১০০ বছরেও আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জনগণ আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বললেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড় সড়কে বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-নিপীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং গ্যাস, বিদ্যুতের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করে রংপুর বিভাগীয় বিএনপি।

সরকারের সমালোচনা করে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, জনগণ আপনাদেরকে ভোট দেয়নি। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় গেছেন। আপনারা যদি মনে করেন জনগণকে ধোঁকা দিয়ে নির্বাচন করবেন, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ছাড়বে না। গুমের ভয়, ক্রসফায়ারের ভয়, পুলিশের হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন-অত্যাচার করেছেন। এখন মানুষ সবকিছুর ভয় উপেক্ষা করে বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে আছে।

তিনি বলেন, বিএনপি একটা কর্মসূচি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে থাকে। আপনারা শান্তি সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা করছেন। মানুষকে ভয় দেখিয়েছেন। আমাদের কর্মীদের ওপর গুলি চালানোর চেষ্টা করছেন। এত কিছু করেও আওয়ামী লীগ আমাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশ থেকে দূরে রাখতে পারেনি, পারবেও না।

আগামী সংসদ নির্বাচন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে আর কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না। আমরাও নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে যাব না। ইভিএমে ভোট হবে না। ভোট হবে ব্যালটে। হিসাব করে চলবেন, দিন কিন্তু আর বেশি বাকি নেই। সময় এসেছে, এই অবৈধ শেখ হাসিনাকে গদি থেকে নামানোর।

Advertisement

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা এ দেশের সন্তান, আপনারা এ দেশের মানুষের ওপর গুলি চালাবেন না। নিজের দেশের মানুষের দিকে বন্দুকের নল তাক করবেন না। র্যা বের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আসছে। আপনারা নিজেদেরকে এত নিরাপদ মনে করবেন না। দেশের মানুষের সঙ্গে আপনারা যা করছেন, তার বদলা এই দেশের মানুষ নেবে। বিএনপি আপনাদের কিছু করবে না। যে বোন তার ভাইকে হারিয়েছে, যে মা তার সন্তাকে হারিয়েছে, যে স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছে তারা আপনাদের বিচার করবে।

এএম

 

চট্টগ্রাম

চট্রগ্রামে এয়ার এরাবিয়ার জরুরী অবতরণ, অল্পের জন্য রক্ষা

Published

on

যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট। ফ্লাইটটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে  চট্টগ্রামে আসছিলো।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি অবতরণ করে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।

বিমানবন্দরের পরিচালক জানান, বিমানটি অবতরণের সময় হাইড্রোলিক পড়ে যায়। পরে বিমানটির পাইলট সতর্কতার সঙ্গে রানওয়েতে অবতরণ করে। বিমানে ১৯১ জন যাত্রী ও সাত জন ক্রু ছিলেন। সবাই নিরাপদে আছেন। যাত্রীদের কেউ এ বিষয়ে টের পাননি। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি।

প্রসঙ্গত, অবতরণের পরে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে পুশ কার ট্রেলার দিয়ে টেনে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সিলেট

আধিপত্য বিস্তার : সংঘর্ষে ৩ ভাইসহ ৫ জন নিহত

Published

on

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্বের বিরোধর জের।  তারপর কথা কাটাকাটি-ঝগড়া। শুরু সংঘর্ষ। পরে তা ছড়িয়ে পরে দুই গ্রামের মধ্যে। এ ঘটনায় প্রাণ হরালেন তিন ভাইসহ পাঁচজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মারা যান। এ ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, আগোয়া গ্রামের আব্দুল কাদির (২৫), সিরাজ মিয়া (৫০) লিলু মিয়া (৪০) তার ভাই জিলু মিয়া (৪২) ও আনু মিয়া। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলায় মন্দরী ইউনিয়নের আগোয়া গ্রামে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার সঙ্গে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী বদির মিয়ার মধ্যে পুর্বের বিরোধর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুইজনের সমর্থক অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদির ও স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও শতাধিক মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মধ্যে লিলু নামের আরো একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরবর্তীতে সিলেটে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় লিলুর ভাই জিলু মিয়া ও আনু মিয়ার ।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দুই দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অন্যের বসতঘরও ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন গ্রামের সামর্থ্যবান পুরুষরা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার

Published

on

চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানটি উদ্ধার করে নৌবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানটি উদ্ধার করে নৌবাহিনী। চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিমান উদ্ধারের বিষয়টি কে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আকাশ থেকে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে ছিটকে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর বেলা ১১টা থেকে বিমানটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে নৌবাহিনী।

প্রসঙ্গত, মূলত যুদ্ধবিমানটি কী কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এটিতে কী ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল এবং বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌবাহিনী বিমানটি উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। এক্ষেত্রে নৌবাহিনীর একাধিক ডুবুরি টিম এবং একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। একপর্যায়ে বাহিনীটি বিমান উদ্ধারে সফল হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version