Connect with us

নারী ও শিশু

নারী ও শিশু নির্যাতনের শাস্তি

Published

on

নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধ কঠোরভাবে দমনের জন্য সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন করে। ২০০০ সালে আইনটি প্রণয়নের পর ২০০৩ সালে এটি সংশোধীত হয়।

এ আইনের মাধ্যমে নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে সংঘটিত কয়েকটি অপরাধ চিহ্নিত করে তার দ্রুত বিচার ও শাস্তি বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে।

সাধারণভাবে  সংঘটিত কয়েকটি অপরাধের মধ্যে অন্যতম হলো দহনকারী পদার্থ দ্বারা কোনো নারী বা শিশুকে আহত বা মৃত্যু ঘটানো । দহনকারী পদার্থের মধ্যে এসিড নিক্ষেপের অপরাধও অর্ন্তভূক্ত।

যদি কোনো ব্যক্তি দহনকারী, ক্ষয়কারী অথবা বিষাক্ত কোনো পদার্থ দ্বারা কোনো শিশু বা নারীর মৃত্যু ঘটান বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করেন, তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যু দণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এর পাশাপাশি সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করবেন।
এছাড়া যদি কেউ দহনকারী পদার্থের দ্বারা আহত হন তবে সেক্ষেত্রেও শাস্তির বিধান রয়েছে।

আবার যদি কেউ পতিতাবৃত্তি বা বেআইনী বা নীতিবিগর্হিত কোনো কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে কোনো নারীকে বিদেশ থেকে আনে বা বিদেশে পাচার বা প্রেরণ করেন অথবা ক্রয় বা বিক্রয় করেন বা কোনো নারীকে ভাড়ায় বা অন্য কোনোভাবে নির্যাতনের উদ্দেশ্যে হস্তান্তার করে বা কোনো নারীকে তার জিম্মায় রাখেন তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীব কারাদণ্ডে অনধিক বিশ বছর কিন্ত কমপক্ষে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

Advertisement

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বেআইনী বা নীতিবিগর্হিত উদ্দেশ্যে কোনো শিশুকে বিদেশ থেকে আনে বা বিদেশে প্রেরণ বা পাচার করেন অথবা ক্রয় বা বিক্রয় করেন বা কোনো শিশুকে নিজ জিম্মায় রাখেন তা হলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো নারী বা শিশুকে অপহরণ করেন, তা হলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা চৌদ্দ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে এবং অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।
যদি কোনো ব্যক্তি মুক্তি পণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোনো নারী বা শিশুকে আটক করেন, তাহলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন তাহলে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন ও অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।

নারী ও শিশু

প্রতি ১০ শিশুর ৯ জনই পারিবারিক সহিংসতার শিকার

Published

on

বাংলাদেশে এক থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে ৯ জনই প্রতি মাসে পারিবারিক সহিংস পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। এই সহিংসতা প্রতি মাসে সাড়ে চার কোটি শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশু সুরক্ষায় অগ্রগতি সত্ত্বেও সহিংসতা, নিপীড়ন ও শোষণ-বঞ্চনার কারণে লাখ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের নতুন তথ্যে অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী পাঁচ বছরের কম বয়সী ৪০ কোটি শিশু বা এই বয়সীদের মধ্যে প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে ছয়জন শিশু নিয়মিত বাসায় শারীরিক আঘাত বা শারীরিক শাস্তি সহ্য করে। তাদের মধ্যে ৩৩ কোটির মতো শিশুকে শারীরিকভাবে শাস্তি দেয়া হয়ে থাকে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বিশ্বে প্রথমবারের মতো পালিত আন্তর্জাতিক খেলাধুলা দিবসে শিশুদের সহিংসতার শিকার হওয়ার বিষয়ে এই তথ্য প্রকাশ করে ইউনিসেফ। এর মধ্যদিয়ে বাসাবাড়িতে শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তাদের উদ্দীপনা দেয়াসহ সার্বিক সেবাযত্নে ঘাটতির চিত্র ফুটে উঠেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাবা-মা, সেবাদাতা ও শিশুসহ সবার মানসিক স্বাস্থ্য এবং শিশুদের বিকাশের জন্য খেলাধুলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় (এমওডব্লিউসিএ) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (এমওওয়াইএস) এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ইউনিসেফ পরিবার, কমিউনিটি এবং শিশু ও কিশোর-কিশোরীসহ সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য একট সহিংসতামুক্ত ও সুরক্ষামূলক পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশ’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, প্রতিটি শিশুর একটি নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব এবং কমিউনিটি নেতৃত্বাধীন কর্মপদ্ধতির মাধ্যমে আমরা পরিবারকে শক্তিশালী করার জন্য বিনিয়োগের মাধ্যমে সহিংসতা এবং ক্ষতিকারক অনুশীলন থেকে ১৬ লাখেরও বেশি শিশু ও নারীকে সুরক্ষা প্রদান করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছি।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘শুধু ২০২৩ সালেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় স্পোর্টস ফর ডেভেলপমেন্ট (এসফোরডি) কর্মসূচির মাধ্যমে দেশজুড়ে ৪৫ লাখ বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে প্রতিটি শিশু উন্নতি লাভ করতে পারবে এবং তার সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবে।’

তিনি আরও বলেন, এসফোরডি উদ্যোগে পিছিয়েপড়া জেলাগুলোতে বাবা-মায়েদের সম্পৃক্ত করে শিশুর নিরাপত্তা ও সহিংসতা প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনাসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সব শিশু যাতে খেলাধুলায় অংশ নিতে পারে সেই সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফ এই প্রচেষ্টায় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিচ্ছে।

ইউনিসেফ দেশের ৪৩টি জেলায় দুই হাজার ১৭০টি শিশু সুরক্ষা কমিউনিটি কেন্দ্র (চাইল্ড প্রটেকশন কমিউনিটি হাব-সিপিসিএইচএস) গড়ে তুলেছে। এর মাধ্যমে ২০২৩ সালে এক হাজারের বেশি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। এসব কেন্দ্র শিশু ও তার পরিবারের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে ভূমিকা রাখে। এখান থেকে শিশুদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক সেবামূহ, বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড ও মনো-সামাজিক সহায়তা দেয়া হয়।

সিপিসিএইচগুলোর মাধ্যমে শিশু ও নারীদের ওপর সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ে ৬০ লাখের বেশি কমিউনিটি সদস্যকে সচেতন করে তোলা হয়েছে। এছাড়া এখান থেকে জন্মনিবন্ধন ও পুনরায় স্কুলে ভর্তি হওয়ার মতো শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলোতে সহায়তা দেয়া হয়েছে।

প্রথম আন্তর্জাতিক খেলাধুলা দিবসে, ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ, দাতা, বেসরকারি খাত এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারকে অবিলম্বে শিশুদের খেলাধুলার অধিকার পূর্ণ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। শিশু অধিকার সনদ এর ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিটি শিশুর বিকাশ এবং সুস্থতার নিশ্চয়তা দেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন একটি কার্যকরী শিশুসুরক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড এবং এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ সামাজিক কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

নারী ও শিশু

ছয়টি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৭১৬১ নারী কর্মকর্তা নিয়োগ

Published

on

ছয়টি বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৭ হাজার ১৬১ জন নারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২-২০২৩’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

৩৫তম থেকে ৩৯তম বিশেষ বিসিএস এবং ৪২তম বিশেষ বিসিএস পর্যন্ত নারী কর্মকর্তাদের নিয়োগের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনের ‘গুরুত্বপূর্ণ পদে নারী কর্মচারী’ অংশে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত নবম গ্রেডের কর্মচারীদের মধ্যেও নারী কর্মচারী সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারের নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১০ শতাংশ কোটার অতিরিক্ত মেধা কোটায় নারী নিয়োগ পাচ্ছেন।

৩৫তম বিসিএসে মোট ২ হাজার ১২৫ জন নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৫৩০ জন নারী ৫৯৫ জন। ৩৬তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ২৫৫ জনের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৬৭১ জন ও নারী ৫৮৪ জন।

৩৭তম বিসিএসে মোট নিয়োগ পেয়েছেন এক হাজার ২৪৯ জন, এর মধ্যে পুরুষ ৯৪০ জন ও নারী ৩০৯ জন। ৩৮তম বিসিএসে মোট নিয়োগ পেয়েছেন ২ হাজার ১৩৪ জন, এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৫৬২ জন এবং নারী ৫৭৫ জন।

Advertisement

৩৯তম বিসিএস (বিশেষ) মোট ৬ হাজার ৭২৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে পুরুষ ৩ হাজার ৫৯২ জন ও নারী ৩ হাজার ১৩৭ জন। ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) পুরুষ নিয়োগ পেয়েছেন ২ হাজার ৩৯ জন ও নারী এক হাজার ৯৬১ জন। এ বিসিএসে মোট চার হাজার জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

নারী ও শিশু

শিশুদের ফর্মুলা দুধ খাওয়ানোর প্রচারণা প্রতারণার শামিল: খাদ্যসচিব

Published

on

মায়ের দুধের সঙ্গে ফর্মুলা দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। আর এমনভাবে প্রচারণা হচ্ছে যে এটি শিশুর জন্য সব সমস্যার সমাধান। বিষয়টি অমানবিক। শিশুদের মায়ের দুধের পরিবর্তে ফর্মুলা খাওয়ানো উচিত নয়। স্বাস্থ্যসচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ”মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করি, কর্মজীবী মা বাবার সহায়ক পরিবেশ গড়ি”।

আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, বৈজ্ঞানিকভাবেও বলা হয়ে থাকে শিশুর জন্মের সময়ই মায়েদের দুধের সৃষ্টি হয়। এটা বাচ্চারা পাবে। অনেকে বলে থাকে শিশু দুধ পাচ্ছে না। তবে এমনটা হওয়া মনস্তাত্ত্বিক। শিশুদের মায়ের দুধ না দিয়ে ফর্মুলা খাওয়ানো এবং এর প্রচারণা করা এটি এক প্রকার বঞ্চনা, প্রতারণা করা হচ্ছে মানুষের সাথে।

তিনি বলেন, এ অধিকার পূরণে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। প্রত্যেক মাকেও এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। মায়ের পেটে থাকতে একটি শিশু সবচেয়ে নিরাপদ থাকে। তবে সেক্ষেত্রে পেটের শিশুর জন্য ভালো কেয়ার প্রয়োজন হয়। তা নাহলে শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্বাস্থ্যসচিব আরও বলেন, বাচ্চা দুনিয়াত এলে অসহায় হয়ে পড়ে। তার তখন নতুন করে দুনিয়াতে বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মায়ের দুধ। বাইরের জগতে তার অনেক বেশি জীবাণু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। রোগ-শোক, শারীরিক বৃদ্ধি সবকিছুর জন্য মায়ের দুধ প্রয়োজন। আর ৬ মাস তো বুকের দুধ ছাড়া কিছু খাওয়ানো যাবে না। আর এরপর বাচ্চার বৃদ্ধি বেড়ে যায়।

Advertisement

সচিব বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটিও অনেক বেশি প্রয়োজন। শুধু মায়ের সঙ্গে বাচ্চার ইন্টারেকশন না পুরুষেরও ইন্টারেকশন প্রয়োজন হয়। মায়েদের কষ্ট বাবাদেরও দেখা প্রয়োজন।

প্রতিটা অফিসে ডে-কেয়ার সেন্টার থাকার বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করতে হবে। হাসপাতাল, অফিস-আদালত সব জায়গায় ডে কেয়ার সেন্টার থাকতেই হবে। আইন হয়েছে। সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। এখন থেকে ভালোভাবেই তা প্রয়োগ করতে হবে।

দেশের সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকা জরুরি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।

তিনি বলেন, আমরা বেসরকারি জায়গাগুলোতেও এই ব্রেস্ট ফিডিং ও ডে কেয়ার সেন্টার চালুতে উৎসাহিত করতে চাই। হাসপাতালগুলো অনুমোদনের সময় ও পুনঃঅনুমোদন নেওয়ার সময় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও ডে কেয়ার আছে কি না তা নিশ্চিত করে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাইবো।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, মাতৃদুগ্ধের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে সারাদেশে ২১৮২টি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার করে দেওয়া হয়েছে এবং ১৩২৬টি ডে-কেয়ার সেন্টার করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মহাপরিচালক আরও জানান, চিকিৎসাসেবায় নারীরা ভূমিকা বেশি রাখছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রীর সংখ্যা ৭৬ শতাংশ। ডাক্তারি প্রফেশনে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ মেয়ে কাজ করছেন। আমাদের এই নারী চিকিৎসকরা সমাজে মাতৃদুগ্ধ পানের প্রসারে ভূমিকা রাখবে তা আমরা আশা করি।

পিতৃত্বকালীন ছুটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে করে পরিবারগুলোতে আরো বেশি সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version