Connect with us

অপরাধ

করোনাকালে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসে মা ও শিশুর ঝুঁকি

Published

on

একে তো মহামারি করোনার জন্য সবাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। এর মধ্যে গর্ভবতী মায়েরা রয়েছেন, সবচেয়ে চিন্তায় ও ঝুঁকিতে।

কারণ, গর্ভকালীন প্রতিটি দিনই হবু মায়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অনুভুতির হয়ে থাকে। এরমধ্যে যোগ হয় কিছু অসুস্থতা। তার একটি গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস।  
জাপানের আইচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়াবেটিক গবেষক ও চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ শরীফ মহিউদ্দিন জানান, গর্ভাবস্থায় কিছু হরমোনের প্রভাবে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যদি গর্ভাবস্থায় প্রথমবারের মতো ডায়াবেটিস ধরা পড়ে, তাকে গর্ভকালীন সময়ের ডায়াবেটিস বা জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বলা হয়।

তাই, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়ে ডায়াবেটিস নির্ণয় ও এর নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য।  

শরীফ মহিউদ্দিন বলেন, গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মাত্রা বেশি হলে আতঙ্কিত না হয়ে ইনসুলিন ব্যবহার শুরু করতে হবে। প্রায় ৮০ শতাংশ গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই ভালো হয়ে যায় বলেও জানান তিনি।  

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সন্তান-সম্ভবা মায়ের বয়স বা ওজন তেমন প্রভাব ফেলে না, যে কারোই হতে পারে।  

Advertisement

এসময় ডায়াবেটিস ধরা পড়লে হবু মায়ের স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়তি যত্ন নিতে হবে। নিজের এবং অনাগত শিশুর সুস্থতার জন্য। ওষুধ বা ইনসুলিনের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে প্রতিদিনের খাবার নির্বাচনে।  

কার্বোহাইড্রেট(ভাত, রুটি, আলু) জাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে সবজি ও প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে।  মিষ্টি জাতীয় খাবার বিশেষ করে সাদা চিনির তৈরি বা মিষ্টি ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।  

শরীফ মহিউদ্দিন জানান, গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস হলে হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন সুবিধামতো একটি নির্দিষ্ট সময়ে অন্তত ৪৫ মিনিট একটু বেশি গতিতে হাঁটতে হবে।  

এছাড়াও কিছু যোগ ব্যায়াম রয়েছে, যেগুলো ভালোভাবে শিখে করতে পারলে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে, গর্ভের শিশুর বিকাশ স্বাভাবিক হবে এবং প্রসবকালীন জটিলতা কমাতে সাহায্য করবে।  

এসময় নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করা উচিত। আর রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা অতিরিক্ত দেখলে বা কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা বোধ করলে অতিদ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।  

Advertisement

অপরাধ

এমপি আজীমের খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার, বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যপূর্ণ তথ্য

Published

on

ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আজীম আনার টানা নয়দিন নিখোঁজ থাকার পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বুধবার (২২ মে ) রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে নিউটাউনের টেকনোসিটি থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, এমপির সম্পূর্ণ মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দেহের মূল অংশ ট্রলিতে পরে পাচার করা হয়েছে, আর দেহাবশেষ উদ্ধার করা গেছে।

জানা গেছে, মোট ছয়জন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। এমপিকে হত্যার পর পাঁচজন দেশে ফিরে আসে এবং একজন এখনও ভারতেই অবস্থান করছে। তবে বাংলাদেশে ফিরে আসা পাঁচজনের মধ্যে একজন অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছে বলেও জানা গেছে। আর ভারতে অবস্থান করা ব্যক্তিকে আটক করতে চেষ্টা করছে ভারতের পুলিশ।

মূলত নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তারাই জানান মরদেহ আছে সঞ্জিভা গার্ডেনে। সে খবর দেয়া হয় কলকাতা পুলিশকে। পরে বুধবার এই মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের পুলিশ।

Advertisement

জানা গেছে, যে ফ্ল্যাট থেকে আনোয়ারুল আজিম আনারের খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার মালিকও একজন বাংলাদেশি। তিনি ভারতে গিয়ে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ওই ফ্ল্যাট কিনেছেন। কলকাতার পুলিশ তাকেও খুঁজছে বলে জানানো হয়েছে।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১২

Published

on

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (২০ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময়  ২৫২ পিস ইয়াবা, ২৩.৫ গ্রাম ৩০ পুরিয়া হেরোইন ও ৩২ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১২টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ

Published

on

দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

স্থানীয় সময় সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের এক বিবৃতিতে আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।

এতে আরও বলা হয়, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

Advertisement

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version