আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আসামের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা মিজোরামের

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম ও মিজোরাম সীমান্তে সংঘর্ষে ছয় পুলিশ নিহতের ঘটনায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা করেছে মিজোরাম পুলিশ। সোমবার সংঘর্ষের দিনই আসাম সীমান্তের কাছে কোলাসিব জেলার ভাইরেঙ্গতে পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন মিজোরামের এক পুলিশ সদস্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাসহ আসাম রাজ্য প্রশাসনের চার শীর্ষ পুলিশ, দুইজন আমলা ও প্রায় অজ্ঞাত দুই শ’ পুলিশ সদস্যকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলায় যেসব পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে আসাম রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ও একজন পুলিশ সুপার রয়েছে। এছাড়াও মিজোরামের সঙ্গে সীমান্তবর্তী আসামের কাছার জেলার ডেপুটি কমিশনারকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে, গেল ২৬ জুলাই আসাম পুলিশের আইজিপির নেতৃত্বে দুই শ' জনের একটি দল জোর করে মিজোরাম পুলিশের একটি ক্যাম্প দখল করতে গিয়েছিল। তবে সংখ্যায় কম থাকায় তাদের সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে উঠেনি মিজোরাম পুলিশ। খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কোলাসিবের পুলিশ সুপার। বিষয়টি নিয়ে আসাম পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা চালান তিনি। কিন্তু তাতে কান দেয়নি আসাম পুলিশ। উল্টো ওই এলাকা আসামের মধ্যে পড়ছে বলে পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী সেখানে পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করতে চায় তারা।

এ ঘটনায় পরে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, অস্ত্র আইন এবং মিজোরাম কনটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন অব কোভিড-১৯ অ্যাক্ট ২০২০-তে মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে, আসাম পুলিশই প্রথম গুলি চালিয়েছিল বলে শুক্রবার অভিযোগ করেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। তার দাবি, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বলেছেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী তিনি। প্রয়োজনে সব মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দ্বিতীয় দফার বৈঠক করতে রাজি আছেন তিনি।

সংঘর্ষের পর পর থেকে আসাম ও মিজোরামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গেল সোমবার আসাম এবং মিজোরাম রাজ্য পুলিশের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আসামের ছয় পুলিশ সদস্য নিহত হয়। সীমানার অধিকার নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে এটি নজিরবিহীন ঘটনা। পরে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলেও এখনও কাটেনি সেই জটিলতা।

দুই রাজ্যের পুলিশ জানায়, আসাম ও মিজোরামের সীমান্তবর্তী লায়লাপুর অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের বলে দাবি করে যাচ্ছে উভয় রাজ্য। সম্প্রতি মিজোরামের বাসিন্দারা লায়লাপুরের জমি অবৈধভাবে দখল ও আসামের স্থানীয় অধিবাসীদের উচ্ছেদ করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন