আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌ পথে ঢাকামুখী গার্মেন্টস শ্রমিকরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমনরোধে চলমান লকডাউনের মধ্যে শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার খবরে গাইবান্ধার বালাসীতে নৌ পথে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা মুখে রওনা হচ্ছে জেলার গামেন্টস শ্রমিকরা। গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ১ আগস্ট কারখানা খোলার খবর জেনে সড়ক পথে ট্রাক, পিকআপ, হাইস-মাইক্রোবাস ভাড়া করে ঢাকামুখী রওনা হচ্ছে শ্রমিকরা। যাত্রীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। গাদাগাদি করে যে যেভাবেই পারছেন ঢাকার দিকে রওনা দিচ্ছে। 

শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই জেলার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীর উপজেলার রংপুর- ঢাকা মহাসড়কে বৃষ্টিতে ভিজে ঢাকায় যাওয়ার জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকেই দাম কষাকষি করছে গন্তব্যে যাওয়ার ভাড়া নিয়ে। প্রত্যক যাত্রীর ভাড়া হিসেবে যারা আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা গুনতে পারছে তাদের ভাগ্যে জুটছে চার চাকায় সামান্য জায়গা। যারা এ ভাড়া গুনতে পারছেন না তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেকেই আবার বালাসী ঘাটে গিয়ে নৌকা ভাড়া করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সায়ঞ্জবাড়ী ঘাট হয়ে ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকার পথে রওনা দিচ্ছে। 

ফুলছড়ির বালাসী ঘাটে কথা হয় গার্মেন্টস শ্রমিক শামিউলের সাথে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেনো ঢাকায় রওনা হচ্ছে । তিনি জানান কারখানা খুলবে ১ তারিখ থেকে। সড়ক পথে যান চলাচল বন্ধ আছে। গতকাল রাত থেকে গোবিন্দগঞ্জ চারমাথায় দাঁড়িয়ে ছিলাম যেতে পারিনি। ভাড়াও চায় আট গুন। আর নৌকা দিয়ে গেলে ভাড়া কম লাগবে তাই জীবনের ঝুঁকি হলেও এ পথে যেতে হচ্ছে। 

বালাসী ঘাটে নৌকা মাঝিরা জানান, দলে দলে লোক বালাসীতে আসছে সায়ঞ্জ বাড়ী ঘাটে যাওয়া জন্য লোকের খুবই চাপ। যে নৌকায় ৪০ জন লোকের ধারন ক্ষমতা সেখানে জোর করেই একশোর উপরে লোক উঠে। আমাদের বলার কিছু থাকে না। এ পথে জীবনের অনেক ঝুঁকি আছে। 

নৌপথের যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কারখানা খুলছে। না গেলে চাকুরী চলে যাবে। করোনার সময় চাকুরী চলে গেলে খামু কি? কেউ তো বসে খাওয়াবে না। নৌকায় গেলে ভাড়াও অনেক কম লাগছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এ পথে রওনা দিচ্ছি। জীবন আর জীবিকা দুটিরই প্রয়োজন আছে।  

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন