আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মাঠে ক্যামেরাপারসন নিষিদ্ধ!

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও অফিসিয়ালদের তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হচ্ছে আর কয়েক ঘণ্টা পরই। তারপর করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ নিয়ে হালকা অনুশীলনে নামবেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। 

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অজিদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) কঠিন শর্তের জালে আবদ্ধ করে সফরে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের শর্ত মেনে দুই দলের জন্য পুরো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ভাড়া নিয়েছে বিসিবি। সেখানে ঘাঁটি গেড়েছেন বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা।

কড়াকড়ি থাকবে ম্যাচ ভেন্যু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও। অনুশীলনের সময় তো নয়ই, ম্যাচের সময়ও মাঠে থাকতে পারবে না বাইরের কেউ। অজিদের একাধিক শর্ত মেনে করোনা প্রটোকল সাজাতে হয়েছে বিসিবিকে। মুশফিকুর রহিমও এই সিরিজে খেলতে পারছেন না কোয়ারেন্টিন জটিলতায়। সুরক্ষায় বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নয় অজিরা। এমনকি পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো ক্যামেরাপারসনও মাঠে থাকতে পারবেন না!

এই প্রথমবার ম্যাচের দিন মাঠের ভেতরে ক্যামেরা ক্রুরা নিষিদ্ধ হচ্ছেন! এমনিতেই করোনাকালে ফটো সাংবাদিকেরা মাঠে বসে ম্যাচ কভার করতে পারেন না। শেরেবাংলার পশ্চিম-উত্তর দিকে গ্যালারিতে বসে ম্যাচ কভার করেন। এই সিরিজেও সেটাই হবে। বাড়তি হিসেবে যোগ হলো, আউটফিল্ডে কোনো ম্যানুয়েল ক্যামেরা স্থাপন করা যাবে না! মাঠের ভেতর স্টাম্প ভিশন ক্যামেরাটিই একমাত্র ক্যামেরা হিসেবে থাকবে। টিভি ক্রুদের কাজ করতে হবে বিভিন্ন গ্যালারি আর গ্র্যান্ড স্টান্ড থেকে।

অস্ট্রেলিয়ানদের এই কড়া কোভিড প্রটোকলকে অনেকের কাছেই বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অজিরা নিজেদের ক্রিকেটারদের ওপরেই খড়গহস্ত। এবারের আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর স্মিথ-ওয়ার্নারদের দেশে ফিরতে দেয়নি অজি সরকার। মালদ্বীপে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে তারা ফিরতে পেরেছেন! এরপর দেশে গিয়ে আবার বন্দি হতে হয়েছে হোটেলে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই নিউ নরমাল এবং এভাবেই ইভেন্টগুলো আয়োজন করতে হবে।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন