আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ইসি আলমগীরে বিরক্ত সিইসি?

রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের বক্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল?

আজ বুধবারে (১৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্বের বিষয়ে বিরক্তির সুরেই কথা বলেন সিইসি।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছিলেন, দুদকের আইনে বলা আছে, কমিশনাররা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না। কিন্তু আপনারা জানবেন যে, নির্বাচন কমিশন যখন এটা করেছে, তখন আইন-কানুন জেনেই এটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তখন এটি নিয়ে কোর্টে একটি মামলা হয়েছিল। কারণ বিচারপতির ক্ষেত্রেও একই আইন যে, উনারা লাভজনক পদে যেতে পারবেন না।

তিনি বলেছিলেন, যেহেতু ওই সময়ে একটি মামলা হয়েছিল এবং ওই মামলায় হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছিলেন। সেখানে বলা আছে, এতে কোনো বাধা নেই এবং সেই আদেশের বিরুদ্ধে কোনও আপিলও হয়নি। যেহেতু আমাদের সামনে উচ্চ আদালতের একটি সুনির্দিষ্ট উদাহরণ রয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে লাভজনক পদ বলা যাবে না। ওই রায়ে বলা আছে, লাভজনক পদ বলতে বুঝাবে প্রজাতন্ত্রের যারা কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের। এটি স্পষ্ট বলা আছে। অতএব এটি উনার (মো. সাহাবুদ্দিন) ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়। উনার রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হতে আইনগত কোনও বাধা নাই।

গতকাল ইসি আলমগীরের বক্তব্যের পরই আজ সিইসি জুরুরি সংবাদ সম্মেলন করেন। কারণ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সমস্ত বিষয়ের দায়দায়িত্ব সিইসির ছিল। কিন্তু সিইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিষয়ে ইসি আলমগীর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছেন না সিইসি।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বিরক্তির সুরে বলেন,আমরা নিয়ম অনুযায়ী, সংবিধান, সহায়ক আইন এবং সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী আমাদের এই নির্বাচনটি পরিচালনা করতে হয়। আমরা তফসিল করেছিলাম। তফসিল অনুযায়ী ১২ তারিখে মনোনয়ন পেয়েছি। বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত ছিল। বাছাইয়ের কাজটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার তথা নির্বাচনী কর্তা একক এবং অবিভাজ্য। এটা কমিশনের কোনও দায়িত্ব ছিল না। দায় দায়িত্ব, ভুলভ্রান্তি সবকিছুর দায়ভার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এককভাবে নিতে হবে। সেই জন্যই যেহেতু বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওপর একটি একক ও অবিভাজ্য দায়িত্ব অর্পিত ছিল। তাই আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাম নির্বাচনী কর্তা হিসেবে কিছু কিছু উত্থাপিত বিষয়ে বিভ্রান্তি নিরসনেরর সুবিধার্থে কিছু বক্তব্য উপস্থাপন আবশ্যক মনে করছি।

সিইসির এখতিয়ারভুক্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের গণমাধ্যমে কথা বলা নিয়ে কি তাহলে সিইসি বিরক্ত হলেন? -এমনটাই মনে করছেন এ বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন