বাপের বাড়ি থেকে আসতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
স্বামীর উপর রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী। দীর্ঘ দিন আর ফেরেননি। স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে ফেরানোর জন্য রাজি করাতে না পেরে, তাকে কাঁচি দিয়ে অন্তত ৮ থেকে ১০ বার কুপিয়েছেন স্বামী নরেশ।
ঘটনাটি ভারতে গাজিয়াবাদের আর্যনগর এলাকার। মৃতের নাম বংশীকা (২২)। ২০২০ সালে ১০ বছরের বড় নরেশের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নরেশের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন বংশীকা। তার জেরেই রেগে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে স্ত্রীকে ফেরানোর চেষ্টা করছিলেন নরেশ।
গেলো শুক্রবারও স্ত্রীকে নিয়ে আসতে তার বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু বংশীকা স্বামীর সংসারে ফিরতে রাজি হননি। তাতেই মেজাজ হারান নরেশ। তিনি টেবিলের উপর রাখা কাঁচি নিয়ে স্ত্রীকে আক্রমণ করেন। এলোপাথাড়ি কোপ মারেন স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন অংশে। তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যেরা ছুটে আসেন।
স্ত্রীকে মেরে পালিয়ে যান নরেশ। বংশীকাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর গলা, বুকের নানা অংশ কাঁচির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল। মৃতের মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত।
ওই দিন রাতেই নরেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে কাঁচি দিয়ে অন্তত ৮ থেকে ১০ বার কুপিয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। বুঝিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনতেই গিয়েছিলেন। রাগের মাথায় স্ত্রীকে কাঁচি দিয়ে আক্রমণ করে বসেন তিনি।