আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

নরসিংদীতে কৃষক হত্যা, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হাইকোর্টে খালাস

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এক কৃষক হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাত আসামিকেই খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। নিহত ওই কৃষকের নাম সামসুল হক। জমি সক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে কুপিয়ে জখম করলে টনাস্থলেই মারা যান কৃষক সামসুল হক।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাস পাওয়া সাত আসামি হলেন- পলাশ উপজেলার গালিমপুর এলাকার আব্দুল গাফফার, মো. তোতা মিয়া, মো. আলেক মিয়া, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া, মোছা. রুপবান ও মারফত আলী।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ। আসামিদের শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এ এস এম সায়েম আলী পাঠান।

পরে আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সামসুল হককে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। একারণে উচ্চ আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশরাফুল হক জর্জ বলেন, হাইকোর্টের এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ আগস্ট রাতে আসামিরা জমি সক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সামসুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলামকে মারধর করে। পরে কৃষক সামসুল হক সেখানে গেলে তাকে ও তার ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে। এর কিছুক্ষণ পর সামসুল ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী নুরজান বেগম বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি হত্যা ও জখমের মামলা দায়ের করেন।

বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২২ মে নরসিংদীর অতিরিক্ত দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল গাফফার, শরীফ মিয়া, আরিফ মিয়া, ফারুক মিয়া ও বাছির মিয়া।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে সব আসামিকে খালাস  দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন