আর্কাইভ থেকে জাতীয়

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

অমর একুশের ঐতিহাসিক অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি... আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি বাজানোর সময়  রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধীরালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদির দিকে এগিয়ে যান।রাষ্ট্রপতি প্রথমে কেন্দ্রীয়  শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পর পরই প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।এরপর  জাতীয়  সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে আপামর বাঙালি জনতার মিছিলের ঢল নামে ঢাকার রাস্তায়। পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান রফিক, জব্বার, বরকত, সালামরা। তাদের স্মরণে আজকের এই দিনে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে জনতার।

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা জানানোর পর, শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সবার জন্য।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা এসব মানুষের হাতে ছিল নানান রকমের ফুল। কেউ শুধু একটি করে গোলাপ আবার কেউ ফুলের তোড়া ও ডালায় নিজেদের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে প্রবেশ করেন শহীদ মিনারে। তাদের বেশিরভাগের পরনে ছিল কালো পাঞ্জাবি, শাড়ি। অনেকে বুকে লাগিয়েছেন কালো ব্যাজ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন