আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

নবাবগঞ্জে জামাইয়ের হাতে শ্বাশুড়ি খুন, স্ত্রী ও শ্যালক আহত

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ শোল্লা গ্রামে মেয়ের জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বাশুড়ি হামেদা বেগম (৪৫) খুন হয়েছেন। নিহত হামেদা ওই গ্রামের মইফল ইসলামের স্ত্রী।

রোববার (৮ আগস্ট) সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শাওন একই ইউনিয়নের উলাইল গ্রামের কাদের মোল্লার ছেলে। ঘটনার পরপরই শাওনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। এক বছর আগে শাওনের সাথে তানিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।

নিহতের মেয়ে কনা আক্তার জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমার বোন তানিয়াকে অকারণে টাকার জন্য মারধর করত শাওন। ইজিবাইক কিনে দেয়ার জন্য ইদানিং আমার বোনকে চাপ প্রয়োগ করত সে। প্রায় প্রতিদিন বাড়িতে ফিরত মাদক সেবন করে। এসব বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল তাদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে গেল ঈদের পরপর গ্রাম্য সালিশে দুজনের মধ্যে তালাকের সিদ্ধান্ত হয়।

কনা আক্তার বলেন, রোববার সকালে আমাদের বাড়িতে আসে শাওন। এসেই গালিগালাজ শুরু করে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে আমার বোন তানিয়াকে। এমন অবস্থা দেখে মা ও আমার ভাই সহ আমরা ফেরাতে এলে আমাদেরও ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আমাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে শাওনকে ধরে ফেলে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় মা, আমার বোন তানিয়া ও ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নেয়ার পথে মৃত্যু হয় মায়ের। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বোন ও ভাইকে নবাবগঞ্জের সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শাওনকে আটক করে।এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন