আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

লর্ডসে রোমাঞ্চকর জয় ভারতের

লর্ডস টেস্টে সোমবার ইংল্যান্ডকে ১৫১ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে ভারত। এই মাঠে রানের বিচারে এটাই সফরকারীদের সবচেয়ে বড় জয়।

ভারতের ছুড়ে দেয়া ২৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২০ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এই মাঠে রানের বিচারে এটাই সফরকারীদের সবচেয়ে বড় জয়। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেছে ভারত। এর আগে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ড্র হয়। 

হোম অব ক্রিকেট খ্যাত লর্ডসে ১৯ ম্যাচে ভারতের এটা তৃতীয় জয়। এমন জয়ে ভারতের বিশ্বমানের বোলাররা যেমন বল হাতে অবদান রেখেছেন, তেমনি ব্যাট হাতেও রেখেছেন।

শেষ দিনে মধ্যাহ্ন ভোজের কিছুক্ষণ পর ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। চা বিরতিতে তারা যায় ৪ উইকেটে ৬৭ রান তুলে। এই ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করেন ব্যাট হাতে ভারতকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনা বুমরাহ ও শামি । প্রথম দুই ওভারে ররি বার্নস ও ডম সিবলিকে ফেরান দুজন। ইশান্ত শর্মা এই সেশনে নেন বাকি দুই উইকেট।

শেষ সেশনের শুরুতে জো রুটকেও ৩৩ রানে মাঠছাড়া করেন বুমরাহ। ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে পথে ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন মঈন আলী ও জস বাটলার। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজ ৩৯তম ওভারে পর পর মঈন (১৩) ও স্যাম কারানকে (০) ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ ভাঙেন। 

জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামা ইংল্যান্ড ৯০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হাসফাঁস অবস্থা। দিনের শেষ ২২ ওভার ম্যাচ বাঁচাতে সময় পায় স্বাগতিকরা। আর ভারতের দরকার ছিল ৩ উইকেট। ওলি রবিনসনকে নিয়ে শেষ চেষ্টা করে যান বাটলার।

সপ্তম উইকেট হারানোর পর জস বাটলার ও রবিনসন ৭৬ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। মনে হচ্ছিল তাদের ব্যাটে ইংলিশদের রক্ষা হবে। কিন্তু মাত্র সাত বলের ব্যবধানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের বিশাল পরাজয়কে সঙ্গী করে জো রুটের দল। 

জসপ্রিত বুমরাহ রবিনসনকে এলবিডব্লিউ করে ভাঙেন প্রতিরোধ। রিভিউ নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন ইংলিশ পেসার। কিন্তু পারেননি। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাটলার (৯৬ বলে ২৫)। ওই ওভারের পঞ্চম বলে অ্যান্ডারসনের উইকেট উপড়ে ফেলেন ডানহাতি পেসার।

এরপর ক্রিকেটের তীর্থভূমিতে উদযাপন শুরু হয়ে যায় কোহলির টিম ইন্ডিয়ার।

ভারতের দেয়া ২৭২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ১২০ রানে। বল হাতে সিরাজ ৪টি ও বুমরাহ ৩টি উইকেট নেন।

এর আগে লর্ডসে ৬ উইকেটে ১৮১ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্ত ও ইশান্ত শর্মা আরও ১৮ রান যোগ করেন। ২০৯ রানে ৮ উইকেট হারায় ভারত। ক্রিজে জুটি গড়েন মোহাম্মদ শামি ও যশপ্রীত বুমরা। ২২ গজে টিকে থাকেন দাঁত কামড়ে। 

৭ বছর পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান শামি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নটিংহ্যামে ২০১৪ সালে প্রথম ফিফটি করেন তিনি। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন শামি, ৩৪ রানে বুমরা। যখন তারা মাঠ ছাড়লেন তখন ইনিংস ঘোষণা হয়ে গেছে ৮ উইকেটে ২৯৮ রানে। শামি ও বুমরার ৮৯ রানের অপরাজিত জুটিতে ইংল্যান্ডকে ২৭২ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন