বিএনপির ২৬ নেতা-কর্মী দুইদিনের রিমান্ডে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় বিএনপির ২৬ নেতা-কর্মীকে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জেল হোসেন এই আদেশ দেন। এই মামলায় গ্রেফতার অপর ১৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামি পক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন আবেদন করেছিলেন। তাদের পক্ষে শুনানী করেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জিয়া উদ্দিন জিয়া ও জয়নাল আবেদিন মেসবাহসহ প্রায় ৩০ জন আইনজীবী। শুনানিতে তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানে পুলিশ বাধা দিয়ে মারধর করেছে। এরপর একাধিক মামলায় তাদেরকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ নিরীহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। গ্রেপ্তার সবাই পুলিশের আঘাতে আহত।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দীন হিরন জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ড মঞ্জুরের দাবি জানান। তিনি আদালতে বলেন, আসামিরা সন্ত্রাসি ও নাশকতার উদ্দেশ্যে ঘটনা ঘটিয়েছে। সরকারি গাড়ি ভাংচুর করেছে। ওই এলাকায় মেট্রোরেলের উন্নয়ন কাজ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এর আগে ৪৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
মঙ্গলবার ১৭ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধীতে শ্রদ্ধা জানাতে যায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দলটির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও টিয়ারশেল ছোঁড়ে। তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, শুধু টিয়ারশেল নয়, গুলিও চালিয়েছে পুলিশ। এতে তাদের দলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে,সংঘর্ষে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এই ঘটনার পরে মঙ্গলবার রাতে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ একটি মামলা করে। পরদিন বুধবার মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আরও দুটি মামলা করে।
এসব মামলায় বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ৪৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।