আর্কাইভ থেকে দক্ষিণ আমেরিকা

পাসপোর্টধারী মার্কিনিদের বাধা দিচ্ছে না তালেবান : বাইডেন

দ্রুততম সময়ে তালেবানের আফগানিস্তান দখল এবং যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম লড়াই বন্ধে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থানে অটল রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন দাবি করেন, মার্কিন পাসপোর্টধারীদের কাবুল বিমানবন্দরে যেতে বাধা দিচ্ছে না তালেবান। তবে প্রত্যাহার কার্যক্রম একেবারে প্রাণহানির ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে স্বীকার করেন তিনি।

তবে বাইডেনের বক্তব্যের উল্টো তথ্য দিয়ে তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, কাবুল বিমানবন্দরগামী মার্কিন সেনাদের পিটিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রমে মার্কিনিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ৫০ থেকে ৬৫ হাজার আফগান সহযোগী দেশ ছাড়তে চায়, তাদেরও আনতে হবে। তবে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম যে বিপজ্জনক অবস্থায় করতে হচ্ছে এতে কোনো ভুল নেই। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে আমাদের সামরিক বাহিনী।

যুদ্ধে সহযোগিতাকারী আফগানসহ প্রত্যেক মার্কিনিকে আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন জানান, ১৬৯ জন মার্কিনিকে ফিরিয়ে আনতে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হেলিকপ্টার পাঠিয়েছিল মার্কিন সামরিক বাহিনী।

জো বাইডেন আরো বলেন, মৃত্যুর ঝুঁকি একেবারেই থাকবে না এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে এতটুকু বলতে পারি, সবাইকে নিরাপদে ফেরাতে আমাদের যত শক্তি আছে, সবই ব্যবহার করা হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, এপ্রিলে সেনা প্রত্যাহারের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তাতে তাঁর কথায় সামরিক বাহিনীর প্রস্থান ছিল একটি সহজ বিকল্প এবং এছাড়া কার্যকরভাবে করার কিছুই ছিল না।

এ সময় প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, তালেবানের এত দ্রুত ক্ষমতা দখল কেউ আশা করেনি। সে সম্ভাবনার কথা প্রত্যাহার কর্মসূচির ঘোষণার সময় থেকেই বারবার নাকচ করে যাচ্ছিলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, তিন লাখ আফগান সেনা, যাদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি এবং অস্ত্রে সজ্জিত করেছি হঠাৎ করে তারা হার মানতে বা হাল ছেড়ে দিতে পারে, আমার মনে হয় না এমনটা কেউ ভেবেছে।

তা সত্ত্বেও, মার্কিন নাগরিক ও আফগান সহযোগীদের সুশৃঙ্খলভাবে উদ্ধারে ব্যর্থতা এবং যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগান সরকারের দ্রুত পতনে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি ও বাস্তবায়ন সক্ষমতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন