আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

গাইবান্ধায় মৃত ব্যাক্তিকে ২০ মাস পর জীবিত উদ্ধার

গাইবান্ধায় অপহরণের পর হত্যা মামলার কথিত মৃত ব্যাক্তিকে ২০ মাস পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ শনিবার (২১ অগাস্ট) দুপুরে পিবিআই তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানায়। এতে বক্তব্য দেন, গাইবান্ধা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ।

ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ডোমেরহাট সূবর্ণদহ গ্রামের জাহিদুল ইসলাম। তার মেয়ে মোছা. জান্নাতি বেগমের সাথে পাশ^বর্তী নিজপাড়া গ্রামের ওয়াসিম জাহান ওরফে তৌহিদের (২৮) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে জান্নাতি গর্ভবতী হলে স্থানীয়দের চাপে ২০১৮ সালের ২৭ মে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বিয়ের পরে ওয়াসিম জাহান দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে মেয়ে পক্ষ তা দিয়ে অস্বীকার করলে জান্নাতিকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন ওয়াসিম। এই ঘটনায় জান্নতি বেগম বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ পারিবারিক জজ আদালতে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ওয়াসিম ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর নিজে আত্মগোপন করেন।

এরপর তার বড়ভাই মানজুমুল হুদা বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সুন্দরগঞ্জ আদালতে ওয়াসিমের স্ত্রী জান্নাতি ও তার পরিবারের সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওয়াসিমকে অপহরণ করে হত্যা ও গুমের অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত অপহরণ করে হত্যা ও গুমের মামলার তদন্তভার পিবিআইকে হস্তান্তর করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগষ্ট) পিবিআইয়ের একটি দল গাজীপুর জেলার মোগরখাল এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে ওই এলাকার টিএনজেএড নামের একটি কারখানা থেকে কথিত মৃত ওয়াাসিমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। গাইবান্ধা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুর রাজ্জাক এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। কথিত মৃত ওয়াাসিম দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকুরি করে আসছিলেন।

পুলিশ সুপার জানান, আজ শনিবার বিকেলে ওয়াসিমকে আদালতের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন