আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভারতে পশ্চিমবঙ্গের শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ওপর বোমা হামলা, আহত ১৩

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছে আরও ১৩ নেতাকর্মী। বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা রেলস্টেশনে এ বোমা হামলা চালানো হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বুধবার রাতে কলকাতায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন জাকির হোসেন। নিমতিতা থেকে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস ধরার কথা ছিল। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যান তিনি। স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে হামলাকারীরা। বোমায় গুরুতর আহত হন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। তাকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ সময় জাকিরকে ঘিরে ছিল দলীয় কর্মী, সমর্থক ও অনুগামীরা। সেই সময় মোবাইলে ভিডিও করছিল অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি ভিডিও আপ করছিল কেউ কেউ। সেই ভিডিওতেই ধরা পড়ে রাজ্যের মন্ত্রীর ওপর বোমা হামলার ভয়ানক দৃশ্য। ভিডিওতে দেখা যায় গাড়ি থেকে নেমে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন জাকির।

ওই সময় মন্ত্রীর জয়ধ্বনীর পাশাপাশি দলীয় স্লোগান দিচ্ছে সবাই। কিছুটা হেঁটে যাওয়ার পর হঠাৎই ভিডিওতে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার আকস্মিকতা কাটতেই দেখা যায় এদিক-ওদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের খান, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের এমপি অধীর চৌধুরী।

জেলা পুলিশ জানায়, বোমা হামলায় গুরুতর আহত মন্ত্রীকে প্রথমে জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়।

মন্ত্রীর হাতে-পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। আহত বাকিদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কয়েক বছর আগে গরু পাচার নিয়ে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করায় দলের রোষানলে পড়েন জিাকির হোসেন। পাচারকারীরা তাকে খুনের হুমকি দিয়েছে বলেও রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে হামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মুর্শিদাবাদের এ ঘটনাকে বাংলার রাজনীতিতে কালো দিন বলে টুইট করেছেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, রাজনীতিতে হিংসার কোনো জায়গা নেই। এ সময় জাকিরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন ফিরহাদ।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন