আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মির্জা আব্বাসের দূর্নীতি তদন্ত করবে করবে দুদক

দুর্নীতি ও ক্ষমতার ব্যবহারের অভিযোগে বিএনপি নেতা ও সাবেক পূর্ত মন্ত্রী জনাব মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দূর্ণীতি দমন কমিশন, দুদক। রোববার (২২ আগস্ট) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, মির্জা আব্বাস তিনি খিলগাঁও মৌজায় রেলওয়ের ০.৩১২৫ একর জমি অবৈধভাবে নিজ নামে অবমুক্ত ও নামজারী করেছেন। একই মৌজার বিভিন্ন দাগ খতিয়ানে আরও ১৫০ কাঠা জমি দুনীতির মাধ্যমে কিনেছেন। খিলগাও পুনর্বাসন এলাকার পার্কের জায়গায় প্লট তৈরী করে নিজ নামে/বেনামে বরাদ্দ নিয়ে সরকারের দুইশ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া গুলশান বনানীতে ৫০/৬০ কাঠা জমি আত্মসাত করেছেন।

অন্যদিকে লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি শহীদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করবে দুদক। পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবৈধ সুযোগ নিয়েছেন তিনি। ইতিপুর্বে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে পাপুল ও তারসহযোগীদের বিরুদ্ধে ১টি মামলা চলমান। সেই মামলার অনুসন্ধানের সাথে এসব অভিযোগ যুক্ত হবে। পাপুল কুয়েতের আদালতে দন্ডিত হয়ে সেদেশে কারাবন্দী আছেন।

অপরদিকে কারা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রা্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তারা পরর্সপর যোগসাজশ করে সরকারি টাকা আত্মসাৎপূর্বক জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছে বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে নিয়োগ, টেন্ডার ও মাদক বাণিজ্য করে বিপুল পরিমান অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে বলে অভিযোগ আছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন