আর্কাইভ থেকে এশিয়া

আফগানিস্তান নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনার আহ্বান ওআইসির

আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এবং তালেবানের কাবুল দখলের পর সৃষ্ট সংকট সমাধানে অন্তর্ভুক্তিমূলক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে ওআইসি। একইসঙ্গে দেশটিতে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিও আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর জোট ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ জানায়, রোববার সৌদি আরবের জেদ্দায় আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠকে বসে ওআইসির নির্বাহী কমিটি। সৌদি আরবের নেতৃত্বে বৈঠক থেকে আফগানিস্তানের সব পক্ষকে কার্যকরী আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ওআইসির দাবি, এর মাধ্যমেই আফগানিস্তানে সর্বদলীয় ইসলামিক সরকার গঠন সম্ভব হবে। অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক না গলিয়ে যতোটা সম্ভব সমঝোতা বা শান্তি চুক্তির ব্যবস্থা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাগিদ দিয়েছে ইসলামিক জোটটি।

ওআইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এবং দেশটি আর কখনোই যেন সন্ত্রাসীদের প্ল্যাটফর্ম বা আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করতে না দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

জেদ্দাভিত্তিক ৫৭-সদস্যের সংগঠনটি বলেছে, তারা শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় পুনর্মিলনের গুরুত্বের ওপর জোর দিতে আফগানিস্তানে দূত পাঠাবে।

এছাড়া আফগানিস্তানের চলমান মানবিক পরিস্থিতি, ক্রমবর্ধমান বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং উদ্বাস্তু সংকটের ব্যাপারেও উদ্বেগ জানিয়েছে ওআইসি। সংস্থাটি জানায়, লড়াই-সহিংসতার বাইরেও করোনা মহামারি এবং খরায় বিপর্যস্ত দেশটি। তাই ত্রাণ সহযোগিতা অব্যাহত না থাকলে চরম বিপর্যয় দেখবে গোটা বিশ্ব। তাই ইসলামি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অংশীদারদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানবিক সহায়তা দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে জি-৭ সহ অন্যান্য বহুজাতীয় সংগঠনগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, তালেবান আবারো ক্ষমতা নেওয়ার এক সপ্তাহ পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা বিবেচনার জন্য বৈঠক করবে তারা।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন