আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সিআইডি’র এএসপিসহ তিনজনকে আটক করলো জনতা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর এলাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সিআইডি’র তিন সদস্যকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনগন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন এএসপি মো. সারোয়ার কবির, সহকারী উপপরিদর্শক হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। তাঁরা তিনজনই রংপুর জেলা সিআইডি পুলিশের সদস্য। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা উপজেলার নান্দেরাই গ্রামে মা ও ছেলেকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করেছিলো।

ভূক্তভোগীরা জানায়, সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের সলেমান শাহ পাড়ার লুৎফর রহমান নামে একজনকে গ্রেফতার করতে যায়। লুৎফরকে না পেয়ে তারা লুৎফরের স্ত্রী জহুরা বেগম ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে। এসময় তারা জাহাঙ্গীরের একটি মোটরসাইকেলও নিয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাদের পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জানায়, মা-ছেলেকে ছেড়ে দিবে। তবে তাদেরকে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যরা রাজি না হওয়ায় পরে ২০ লাখ, সবশেষে ৮ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা নিয়ে রানীরবন্দর এলাকায় যেতে বলে।

বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানায় জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যরা। পরে দাবিকৃত টাকা নিয়ে মো. জাহাঙ্গীরের আত্নীয় মামুন ও আফতাবুর জামান এবং চিরিরবন্দর থানা-পুলিশ সদস্য মো. তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন রানীরবন্দর যায়। সেখানে যাওয়ার পর অভিযুক্তরা তাদেরকে কাহারোল উপজেলার দশমাইল এলাকায় একটি তেলের পাম্পের কাছে যেতে বলে ।

এভাবে কয়েকবার জায়গা বদল করে অভিযুক্তরা। সবশেষ হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বাঁশের হাট এলাকায় যেতে বলে। সন্ধ্যার দিকে সেখানে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তখন সিআইডির সদস্যদের আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে সিআইডি সদর দফতর গণমাধ্যম শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মো.আজাদ রহমান জানিয়েছেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন