আর্কাইভ থেকে এশিয়া

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

সীমান্তে সংঘর্ষ এবং ফিলিস্তিনি ছিটমহল থেকে আগুনে বেলুন নিক্ষেপের জবাবে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রোববার গাজার অন্তত দুইটি স্থান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, গাজার ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী হামাসের অবস্থানেও হামলা চালানো হয়েছে। তবে বোমা হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমান থেকে হামাসের সামরিক একটি ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। ভবনটি অস্ত্র উৎপাদন এবং হামাসের সদস্যদের প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হতো। এছাড়াও জাবালিয়া এলাকার একটি সন্ত্রাসী সুড়ঙ্গের প্রবেশপথেও আঘাত হেনেছে ইসরায়েলি বিমান।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সীমান্তে সহিংস দাঙ্গা এবং ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামাসের আগুনে বেলুন ছোড়ার জবাবে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, হামাস কীভাবে সন্ত্রাসী কৌশল অবলম্বন করছে এবং বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে, ওই দুই ঘটনা তার উদাহরণ। তবে ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইসরায়েলি অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা বলেছে, শনিবার ফিলিস্তিনি ছিটমহলের কাছের এশকোল অঞ্চলে অন্তত দুইটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। হামাসের ছোড়া আগুনে বেলুন থেকে এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি করেছে তারা।

এদিকে, শনিবার সীমান্তে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে গাজার ইসলামি সংস্থাগুলো। উপত্যকার ওপর থেকে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার দাবিতেই এই বিক্ষোভ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, রাতে সীমান্ত বরাবর কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি জড়ো হয়। ইসরায়েলের দিকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করছে তারা এবং টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে।

জবাবে দাঙ্গা ছত্রভঙ্গ করার উপকরণ ব্যবহারের দাবি করেছে ইসরায়েল। গাজার চিকিৎসকরা বলছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ছয় ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন