সারাদেশে জামায়াত বিক্ষোভ করবে আজ
হঠাৎ করেই আজ দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে সারা দেশে জেলা শহরে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াত নেতারা। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত ডিএমপিসহ দেশের কোথাও দলটিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি)জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ গ্রেপ্তার অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন—এই তিন দাবিতে জামাত সমাবেশ ডেকেছে।
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের দীর্ঘদিনের সখ্যে হঠাৎ ছেদ পড়ায় অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে বিএনপির স্পষ্ট অবস্থান না থাকায় বিএনপি-জামায়াতের শীতল সম্পর্ক শুরু হয়। জামায়াত ২০ দলীয় জোটে থাকলেও দীর্ঘদিন জোট নিয়ে তাদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। এই শীতল সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হয় গত বছর নভেম্বরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সিরিজ বৈঠকের পর। ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে বিএনপির ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণার আধাঘণ্টার মধ্যে জামায়াতের আমির একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
৩০ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেয় জামায়াত। এ দিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জামায়াতের ২০০ নেতাকর্মী আহত হন এবং গ্রেপ্তার হন ১০ জন। এ ঘটনায় আন্দোলনে শরিক দল এলডিপি নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হয়নি। জামায়াত আমিরকে গ্রেপ্তারের পরও বিএনপি কোনো বিবৃতি দেয়নি। এ নিয়ে বিএনপির ওপর ক্ষুব্ধ জামায়াত। গেলো ২ জানুয়ারি জামায়াতের মজলিসে শুরার একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে শক্তি ক্ষয়ের চেয়ে জামায়াত একা পথে হাঁটবে। এরপর বিএনপির সঙ্গে জামায়াত আর যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেয়নি।
জামায়াতের হঠাৎ একলা আন্দোলন করার বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও প্রচার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জামায়াত একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল। আমাদের অলাদা কর্মসূচি থাকতেই পারে।’ যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াত ইতি টানল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জামায়াতকে তো লিয়াজোঁ কমিটিতেই রাখা হয়নি। ’