ঘরের মাঠে ইতিহাস গড়ে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
নাটকীয় এক জয়, ইতিহাস গড়ে ফাইনালে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে এমন দিন আর আসেনি। পুরুষরা পারেননি, নারীরা পারলেন।
শুক্রবার রাতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পুরুষ কিংবা নারী, বিশ্বকাপে এটি প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো দলের ফাইনালে ওঠার রেকর্ড। শেষ বেলায় ব্যাটিং ধসই ইংল্যান্ডের হারের অন্যতম কারণ। রোববার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়ারা। দুই ওপেনারের সৌজন্যে সেই সিদ্ধান্ত কাজে লেগে যায়। কেপ টাউনের মাঠে লরা উলভার্ট এবং তাজমিন ব্রিটস প্রথম উইকেটে ৯৬ রান তুলে দেন। ওখানেই লড়াইয়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। উলভার্ট ৫৩ রানে আউট হন। ব্রিটস ফিরে যান ৬৮ রানে। তবে মারিজেন ক্যাপ ২৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দেন। চার উইকেটে ১৬৪ তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইংল্যান্ডের সফি একলেসটন ২২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।
ইংল্যান্ডও শুরুটা ভালোই করেছিল। দুই ওপেনার ড্যানি ওয়্যাট এবং সোফিয়া ডাঙ্কলে প্রথম উইকেটে ৫৩ তোলেন। পরের দিকে দলকে টানেন ন্যাট শিভার-ব্রান্ট এবং অধিনায়ক হিদার নাইট। কিন্তু উইকেটে টিকে থাকতে না পারা এবং ভুল শট খেলার কারণে একের পর এক ইংরেজ ব্যাটার সাজঘরে ফিরতে থাকেন। রান তোলার গতি কিছুটা কমে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে শট খেলতে যান ইংরেজ ব্যাটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররা কোনও সুযোগ দেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার শবনিম ইসমাইল তিনটি এবং আয়াবঙ্গা খাকা চারটি উইকেট নিয়েছেন।