আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বাঙালিকে সব কিছুই সংগ্রাম করে আদায় করতে হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

বাঙালির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতেই পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের ভাষা-সাহিত্যের উপর আঘাত হেনেছিল। বাঙালিকে সব কিছুই সংগ্রাম করে আদায় করতে হয়েছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, একুশের পথ বেয়েই আমাদের রক্তস্নাত স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল অর্জন। বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সাথে চলবে। কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে চলবো।

তিনি বলেন, জাতির পিতা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। মাথা উঁচু করে চলার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে দেশ।

ভাষা আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক, এডভোকেট আফসার উদ্দীন আহমেদ।

শিল্পকলায় পদক পেয়েছেন- কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যয় (আবৃত্তি), পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।

মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর) পদক পেয়েছেন।

সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পদক পেয়েছেন কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন