আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মেহেদিতে পুড়েছে হাত, লাখ টাকা জরিমানা

বাজার থেকে কেনা স্মার্ট অ্যাকটিভ কোণ মেহেদি হাতে দিয়ে বিপাকে পড়েন মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বাসিন্দা অনন্যা আলম। হাত রাঙাতে মেহেদি দেওয়ার পরদিন দু’হাতে ফোস্কা উঠে যায়। 
গত শনিবার (২৮ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ৩১ আগস্ট জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। 

এদিকে দু’দফা শুনানি শেষে মেহেদির মোড়কে পণ্যের উপাদান এবং ব্যবহারবিধি উল্লেখ না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানিকগঞ্জ জেলা শহরের তৃপ্তি প্লাজার ভাই ভাই কসমেটিকস থেকে ২৭ আগস্ট স্মার্ট অ্যাকটিভ কোণ মেহেদি ক্রয় করেন অনন্যা আলম এবং ব্যবহারের পরদিন তার দুই হাত ফুলে যায় ও ফোস্কা পড়ে। এরপর তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিতে থাকেন। 

এ ঘটনার পর ৩১ আগস্ট জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। 

এদিকে, ১ সেপ্টেম্বর স্মার্ট মেহেদির বিক্রেতা, পরিবেশকসহ অভিযোগকারীর উপস্থিতিতে প্রথম দফায় শুনানি গ্রহণ করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল এবং ভোক্তা অধিকারের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। 

পরবর্তীতে ৭ সেপ্টেম্বর স্মার্ট মেহেদির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাসমিয়া কসমেটিকস অ্যান্ড ট্রয়লেট্রিস লিমিটেডকে আবারও ডাকা হয়। এ সময় শুনানিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভুক্তভোগীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সম্মত হন। 

স্মার্ট অ্যাকটিভ কোণ মেহেদির মোড়কে পণ্যের উপাদান এবং ব্যবহারবিধি উল্লেখ না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী আরোপিত জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ জেলা প্রশাসক মানিকগঞ্জ মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের মাধ্যমে গ্রহণ করেন অভিযোগকারী অনন্যা আলম।

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন