বরিশালে যৌন হয়রানীর অভিযোগে ফুফু-ফুফাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালে মানবপাচার ও যৌন হয়রানীর অভিযোগে আপন ফুফু-ফুফাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী এক তরুণী। পাশাপাশি চাকরির প্রলোভনে জোর করে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় লিপ্ত করার অভিযোগও করা হয় মামলার এজাহারে।
মামলায় অভিযুক্ত বিবাদীরা হলো, বাদীর ফুফু নুপুর বেগম, ফুফা নজরুল ইসলাম এবং বন্দর থানাধীন নরকাঠী এলাকার সোহেল খান।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।
এসময় তিনি জানান, গত ১৪ মাস পূর্বে তার বিয়ে হয়। পারিবারিক কারণে স্বামীর সাথে বিরোধের জেরে বিয়ের দুইমাস পর বাদী স্বামীর বাড়ি থেকে বরিশাল বন্দর থানাধীন নরকাঠী এলাকায় বাবার বাড়ি চলে আসে। বাবার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বাদীর ফুফু নুপুর বেগম বাদীকে ঢাকাতে চাকরি দেবার কথা বলে। নিজের আর্থিক উন্নতির কথা চিন্তা করে ফুফুর কথায় রাজি হয়ে ৯ মাস পূর্বে বাবা মাকে না জানিয়ে ফুফা নজরুল ইসলাম ও নরকাঠী এলাকার সোহেল খানের সহায়তায় ফুফুর ঢাকাস্থ শনির আখড়ায় নিজ বাসায় নিয়ে যায় বাদীকে। বাসায় যাওয়ার পর বাদী দেখতে পায় ওই বাসায় অবৈধ দেহ ব্যবসার চিত্র। কয়েকদিন পর বাদী তার ফুফুকে চাকরির কথা জিজ্ঞাসা করলে বাদীকে দেহ ব্যবসা করতে হবে বলে জানায়। বিবাদীদের কথায় রাজি না হওয়ায় তারা বাদীকে মারধর করে একটি রুমের বন্দি করে রাখে। বাদি দেহ ব্যবসায় রাজি না হলে তাকে খুন করার হুমকি দেয় বিবাদীরা। কোন উপায় না পেয়ে বাদী ও নির্যাতিতা ওই তরুণী দেহ ব্যবসায় লিপ্ত হয়। বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ৫ মাস অবৈধ দেহ ব্যবসা করতে হয় ১৮ বছর বয়সী তরুণীকে। দুইমাস আগে ওই তরুণী তার ফুফুর বাসার গৃহপরিচারিকার সহায়তায় বিবাদীদের কাছ থেকে পালিয়ে বরিশালে গ্রামের বাড়ি চলে আসে। আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) রাত আড়াইটার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় অভিযোগ আবেদনকরে ভুক্তভোগী তরুণী। পড়ে তরুণীর অভিযোগ আমলে নিয়ে সোমবা্র রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি আসাদুজ্জামান।
মুনিয়া