আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

মিতু হত্যা মামলায় হাইকোর্টে আসামি ভোলার জামিন

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় এহতেশামুল হক ভোলাকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিহত মিতুর বাবার দায়ের করা মামলায় জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ভোলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুহাম্মদ হাসিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে। ওই ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বামী বাবুল আক্তার। ওই বছর নগরীর বাকলিয়া এলাকার এহতেশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশে ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর কারাগার থেকে মুক্তি পান ভোলা।

ওই হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে গত বছর জানুয়ারিতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই। পিবিআই’র তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্তা উঠে আসে। এরপর বাবুল আক্তারের শ্বশুর বাদী হয়ে গত ১২ মে মিতুর স্বামী বাবুলকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাবুল আক্তার এখন কারাবন্দী।

যেভাবে হত্যাকাণ্ড

২০১৬ সালের ২৪ জুন বাবুল আক্তারের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ওই বছরের ২৬ জুন আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম নামে দুজনকে গ্রেফতারের তথ্য জানায় পুলিশ। তারা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুছার ‘পরিকল্পনায়ই’ এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

জবানবন্দিতে ওয়াসিম জানান, নবী, কালু, মুছা ও তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন। হত্যার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের সামনে ছিল মুসা, এরপর আনোয়ার ও একদম পেছনে ছিলেন তিনি। মোটরসাইকেলের পিছন থেকে তিনি প্রথমে মিতুকে গুলি করেন।

জিইসির মোড়ে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নবী তার বুক, হাতে ও পিঠে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ঘটনার সময় বাবুল আক্তারের ছেলেকে আটকে রেখেছিল মুসা। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা চলে যায়। পরে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই আসামি নূরুন্নবী ও রাশেদ পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এছাড়া মুছাসহ দুইজন আসামি পলাতক।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন