হাইকোর্টের রুল: বিমানের সাবেক ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতির তদন্ত কেন নয়?
২০১৪ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে সিবিএ নেতা ছিলেন এমন ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ কেন তদন্ত করতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুদকার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত।
আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
যে সব সিবিএ নেতার বিষয়ে আদালত রুল জারি করেছেন তারা হলেন- মো. মসিকুর রহমান(সভাপতি), আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, মো. মনতাসার রহমান(সাধারণ সম্পাদক), মো. রুবেল চৌধুরী, মো. রফিকুল আলম, মো. আতিকুর রহমান, মো. হারুনর রশিদ, আবদুল বারি, মো. ফিরোজুল ইসলাম, আসমা খানম, আবুল কালাম, মো. আবদুস সোবহান, গোলাম কায়সার আহমেদ, মো. আবদুল জব্বার এবং মো. আবদুল আজিজ।
এরা ২০১৪ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিবিএ (বিমান শ্রমিক লীগ) নেতা ছিলেন। তাদের দুদকে হাজির হতে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি নোটিশ দেয় দুদক। ওইসব নেতা দুদকে হাজির হতে অস্বীকার করেন। কিন্তু দুদক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এনিয়ে ওইবছরের ২৯ জানুয়ারি দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় ‘দুদকের নোটিশে সাড়া দেয়নি বিমানের সিবিএ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর এ প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এইচআরপিবি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে।
এ রিট আবেদনে ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে দুদকের নিষ্ক্রয়তা কেন বেআইনি ঘোষনা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুল বিচারাধীন। এরই ধারাবাহিকতায় রিট আবেদনকারীপক্ষে করা এক সম্পূরক আবেদনে নতুন রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।