পেঁয়াজ সংকট কাটতে তিন বছর লাগতে পারে: বাণিজ্যমন্ত্রী (ভিডিও)
বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে উৎপাদনের চার ভাগের এক ভাগ পচে যায়। এই কারনে ভারত থেকে আমদানী করতে হয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি সুযোগ অপব্যাবহারের ষোলকলা পূর্ণ করতে অজুহাত জুড়ে দেয়া হয়েছে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একারনে আমদানী খরচ বেশী, দামও বেশী।
অভিযোগ আছে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একাধিক অবৈধ সিন্ডিকেট পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কারসাজিতে জড়িত। সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার কঠোর নজরদারীও পুরোপুরি ঠেকাতে পারেনা তাদের অপতৎপরতা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছর দেশে রেকর্ড পরিমান পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। যার পরিমান ৩৩ লাখ ৬২ হাজার টন। এই পরিমান গেল বছরের চেয়ে প্রায় ৮ লাখ টন বেশি। তবে এবছর উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে ৮ লাখ টন পেঁয়াজ পঁচে গেছে। এই ঘাটতি পূরণে ভারত থেকে ১০ লাখ টনেরও বেশি পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়।
ইতোমধ্যে বেশির ভাগ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। অথচ ভারতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেড়েছে, এমন অজুহাতে দেশে প্রায় দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের দাম।
কনজুম্যার এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সহ সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেছেন, পেঁয়াজ আমদানি ও ব্যবসা অনেকটাই প্রায় ‘পেপারলেস’। এই সুযোগে অনেক সময়ই প্রতারণার আশ্রয় নেয় অবৈধ সিন্ডিকেট। তিনি মনে করেন, নিত্যপণ্যের দাম সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের করলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান সম্ভব।
বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী জানিয়েছেন,হিমাগার সংকটের কারনে দেশের পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য কয়েকটি সংস্থাকে হিমাগার নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাদের প্রকল্প শেষ হতে আরো তিন বছর সময় লাগবে। এরপর দেশে উৎপাদিত পেয়াজ প্রায় পুরোপুরি সংরক্ষণ ব্যাবস্থা চালু করা সম্ভব। তখন দেশে পেয়াজ সংকট কেটে যাবে।