আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশকে আরও টিকা দেবে জাপান

কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাসের আরও টিকা দেবে জাপান।  চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে এসব টিকা হাতে পাবে বাংলাদেশ এমনটাই প্রত্যাশা। 

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশকে কোভ্যাক্সের আওতায় করোনার আরও টিকা সরবরাহ করবে জাপান। জাপানের পরিকল্পনা আছে কোভ্যাক্স নিয়ে। তবে কি পরিমান টিকা দেওয়া হবে সেটি এই মুহূর্তে আমি বলতে পারব না। তবে আশা করছি, এটা নভেম্বরে আসতে পারে।

বাংলাদেশকে দেওয়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বিষয়ে ইতো নাওকি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ মিলিয়ন (৩০ লাখ) ডোজ টিকা দিয়েছে। দুই মাসের মধ্যে পাঁচ চালানে এসব টিকা বাংলাদেশে এসেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য যখন অনেক বাংলাদেশি অপেক্ষায় ছিলেন তখন জাপান বাংলাদেশকে টিকা সরবরাহ করেছে। বাংলাদেশ ভালোভাবে টিকাগুলো কাজে লাগিয়েছে।

তিনি বলেন, কো‌ভিড-১৯ এক‌টি বৈশ্বিক সংকট। এ সংকট সমাধানে একে অন্যের সঙ্গে হাত মি‌লিয়ে কাজ কর‌তে হ‌বে। জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।

জাপা‌ন সরকা‌র করোনার টিকা ছাড়াও অন্যান্য মে‌ডি‌কেল সরঞ্জাম সরবরাহ কর‌বে, যা পাইপলাইনে আছে। এগুলো বি‌ভিন্ন হাসপাতাল ও কিছু ইন‌স্টি‌টিউটকে দেওয়া হ‌বে।

গেল ২৪ জুলাই জাপান থেকে উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়। এরপর ৩১ জুলাই দ্বিতীয় চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেশে আসে। 

গত ২ আগস্ট আসে উপহারের আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা। 

২১ আগস্ট চতুর্থ চালানে সাত লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ঢাকায় আসে। 

২৮ আগস্ট  পঞ্চম চালানে আসে আরও ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৯২০ ডোজ টিকা।

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন