তোপের মুখে পাক অভিনেত্রী!
সম্প্রতি বিয়ে সেরেছেন পাক অভিনেত্রী উশনা শাহ। মালা বদল করেছেন গল্ফ খেলোয়াড় হামজা আমিনের সঙ্গে। আর তার বিয়েকে কেন্দ্র করেই তোপ দেগেছেন নেটিজেনরা। কারণ হিসেবে বলেছেন পাকিস্তানের বিয়েতে নাচগান হবে কেন? কেনই বা লেহঙ্গা পরবেন কোনও তরুণী? তাদের দাবি, এ সবই আসলে ভারতীয় সংস্কৃতি। পাকিস্তানের বুকে কোনও অনুষ্ঠানে ভারতের সংস্কৃতি টেনে আনা হবে কেন, এ মর্মেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাক নাগরিকদের একাংশ।
বিয়ে উপলক্ষে অভিনেত্রীর পরনে ছিল পাকিস্তানি ব্র্যান্ড ওয়ার্দা সেলিমের নকশা করা একটি টকটকে লাল লেহঙ্গা। হামজাও সেজেছিলেন ভারতীয় বরের বেশে। তার পরনে ছিল আইভরি রঙের শেরওয়ানি ও লাল সাদা নকশা করা পাগড়ি।
নবদম্পতির ছবির পাশাপাশি বিয়েতে অভিনেত্রীর নাচের ভিডিওটিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। আর তাতেই তোপ দেগেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, লেহঙ্গা একান্তভাবেই ভারতীয় পোশাক। পাকিস্তানের নিজস্ব পোশাক নয় এটি। তাহলে কোনও পাক তরুণী কেন এই পোশাক পরবেন?
এক নেটিজেনের সাফ কথা, “পাকিস্তানের নিজস্ব ধর্ম এবং সংস্কৃতি রয়েছে। সেখানে ভারতের সংস্কৃতি আমদানি করার চেষ্টা করবেন না। আমরা মুসলিম, আর আমাদের ধর্ম আমাদের এ জাতীয় পোশাক পরার অনুমতি দেয় না।” উশনার মতো কেউ কেউ আসলে পাক সংস্কৃতির মধ্যে ভারতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে নিজেদের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চাইছেন, এমনটাই অভিযোগ তাদের।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রকম পোশাকের বৈচিত্র্য রয়েছে। আর বিশ্বায়নের যুগে সেসবই আমাদের হাতের মুঠোয়। ফলে রুচি অনুযায়ীই পোশাক বেছে নেন সকলে। কিন্তু সেই পোশাক নির্বাচনের কারণেই এবার সমালোচনার মুখে পড়তে হল এ পাক অভিনেত্রীকে। যদিও মুখ বুজে এসব কটাক্ষ মেনে নেননি তিনি।
অভিনেত্রীর পালটা জবাব, “যাদের আমার বিয়ের পোশাক নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তাদের না বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, না তারা কেউ আমার পোশাকের জন্য টাকা দিয়েছেন।” পাকিস্তানি শিল্পীর হাতে তৈরি এ পোশাকটিকে সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানি বলেই দাবি করেছেন তিনি। নেটিজেনদের সমালোচনাকে যে তিনি কোনওভাবেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না, সে কথা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন এ পাক অভিনেত্রী।