আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

তৃতীয় কোনো দেশে আশ্রয় চান মুহিবুল্লাহর পরিবার

কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে থাকতেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। তার হত্যার ঘটনা নিজ চোখে দেখেছেন পরিবারের সদস্যরা। তাই ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে আসছেন তারা।

মুহিবুল্লাহকে হত্যার পর কয়েক দিন আগে তার আত্মীয়-স্বজনসহ কয়েকটি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যায় প্রশাসন। এখন তারা সেখান থেকে যেতে চান বিদেশে। এজন্য বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছেন। যাতে রয়েছেন মোট ছয় পরিবারের অন্তত ৩০ সদস্য। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারীদের অন্যতম মুহিবুল্লাহর ভাগিনা রশিদ উল্লাহ।
 
গন্তব্য হিসেবে তাদের অন্যতম পছন্দ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। তবে এরমধ্যে ইউরোপিও ইউনিয়নের একটি দেশ তাদের আশ্রয় দেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানা গেলেও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চান না সংশ্লিষ্টরা। তবে বিষয়টি স্বীকার করেছেন মুহিবুল্লাহর স্বজনরা। 

নিহত মুহিবুল্লাহর ভাগিনা রশিদ উল্লাহ ফোনে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে জানান, আমাদের প্রথম পছন্দ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। 

বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারও।

তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আমি এখন কিছুই বলতে পারব না। তারা আমাকে কিছু জানালে তারপরই আমি বলতে পারব। 

তবে এমন আবেদনকে ভিন্নভাবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। 

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অবঃ) এমদাদুল ইসলাম বলেন, নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য যারা এত বেশি আগ্রহী হয়েছেন। তারা যদি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এমন আগ্রহী হতেন তাহলে আমরা অনেক আগেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারতাম। 

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দৃর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬ জন ধরা পড়েছে। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন