‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে মরদেহ’
ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গেলো শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ডিবি পুলিশের একাধিক টিম ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।
গ্রেপ্তাররা হলো- উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার শাহজাহান (২৬), শহিদ মিয়া (৩৮), আলমগীর হোসেন (২৮), রাসেল মিয়া (১৯) ও পলাশতলী এলাকার মাসুম বিল্লাহ ওরফে ফজর আলী (২২)।
পুলিশ সুপার জানান, গেলো (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে ফাহিমা আক্তার প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন ভোরে বাড়ির পাশের একটি আমগাছের ডালে ফাহিমার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ লাশের সুরতহালে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনার পরদিন ফাহিমা আক্তারের মা হাছনা বেগম বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা পালাক্রমে বিকৃত যৌনাচারের মাধ্যমে ওই তরুণীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তাররা অনেকেই ইটভাটা শ্রমিক। তারা দিনের বেলা ইভাটায় কাজ করে এবং রাতে ধর্ষণসহ জঘন্যতম অপরাধে লিপ্ত থাকে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান মাছুম আহাম্মদ ভুঞা।