আর্কাইভ থেকে ফুটবল

বাবা হারানো শিশুর ইচ্ছাপূরণ করলেন রোনালদো

ফুটবল সুপারস্টার রোনালদোর খেলা দেখা, তার সঙ্গে দেখা করার স্বপ্ন ছিল সিরিয়ান ছেলে নাবিল সাইদের। সিরিয়ায় ভূমিকম্পে বাবা হারানো শিশু সাঈদের সেই ইচ্ছাপূরণ করতে এগিয়ে এলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য সৌদি আরবের উদ্ধারকারীদলের কাছে ১০ বছর বয়সী এই শিশু ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। এরই মধ্যে ছোট্ট শিশুটির সঙ্গে দেখাও করেছেন সৌদি লিগে খেলা এ ফুটবলার।

সোমবার (৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রোনালদোর সাথে দেখা করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত নাবিল। তারকা এ ফুটবলারকে দেখে ভালোবাসি বলে জড়িয়ে ধরে শিশুটি। এর আগে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দলের কাছে সিআরসেভেনের সাথে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল নাবিল। ভিডিও ক্লিপটি দ্রুতই ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায় এবং তা নজরে আসে সৌদি কতৃপক্ষের। ভিডিওটি শেয়ার করে নাবিল ও তার মা’কে সৌদি আরবে স্বাগত জানান জেনারেল এন্টারটেইনমেন্ট অথরিটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ।

উদ্ধারকর্মীদের কাছে সাইদ জানান, তার জীবনে একটা বড় স্বপ্ন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দেখা করা। তার সেই কথা সামাজিক মাধ্যমে পৌঁছে যায় রোনালদোর কানে। শুক্রবার ( ৩ মার্চ) আল-নাসরের ম্যাচের আগে সাইদের সঙ্গে দেখা করেন পর্তুগিজ তারকা। সাইদকে জড়িয়েও ধরেন তিনি। এতো বড় তারকাকে কাছে পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেনি সাইদ। পরে আল-নাসরের ম্যাচ চলাকালীন সময় সংবাদ মাধ্যম রয়র্টাসকে রোনালদোর সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা শেয়ার করেন তিনি।

فرحتك فرحه لي ...حفظ الله مولاي الملك وسمو سيدي القائد الملهم ولي العهد رئيس مجلس الوزراء والشعب السعودي الكريم والشكر للنجم العالمي الكبير... 🇸🇦❤️ pic.twitter.com/9G7ZjhJx8B

— TURKI ALALSHIKH (@Turki_alalshikh) March 3, 2023

সাইদ বলেন, আমি যখন রোনালদোকে দেখি, আমার মনে হচ্ছিল এটা হয়তো স্বপ্ন। আমি নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি জানি না, কখন এ স্বপ্ন শেষ হবে। আমি আশা করি এটা স্বপ্ন নয় এটা সত্যই ছিল।

গেলো ৬ ফেব্রুয়ারির রেকর্ড ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সিরিয়ার একটি বিল্ডিংয়ের নিচে পরিবারসহ চাপা পড়েন সাইদ। মা আর সাইদকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তার বাবাকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি উদ্ধারকর্মীরা। বাবা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় সাইদের পরিবার।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন