সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে : গয়েশ্বর
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে সরকার। তার চিকিৎসার জন্য সরকার এতো দরদী হওয়ার দরকার নেই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা করবেন, নাকি দেশে চিকিৎসা করবেন, ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন, নাকি ফকিরের কাছে চিকিৎসা নিবেন সেটা তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তারা যে ধরনের কথা বলছে, তাতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে একটি দেশ পেয়েছি, পতাকা পেয়েছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা এখনও স্বাধীনতা পাইনি। বারবার গণতন্ত্র হোঁচট খায়। কর্তৃত্ববাদী এবং ক্ষমতার লোভে কখনও গণতন্ত্র সুষ্ঠু ও স্বাভাবিকভাবে চলার সুযোগ পায় না। দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত এমনিতেই ফ্যাসিবাদী সরকার, যারা ভোটে তোয়াক্কা করে না, জনগণের অধিকারে তোয়াক্কা করে না, যারা ক্ষমতায় এসে লুটপাটের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি শূন্যের কোঠায় নিয়ে গেছে। একদিকে লুটপাট, অন্যদিকে মুদ্রা পাচার। এ কারণে আজকে রাষ্ট্রের কোষাগার অনেকটাই শূন্য।
গয়েশ্বর বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আজকে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আজকে দফায়-দফায় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না। বরং চাকরির বাজার ছোট হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, একটি ভোটারবিহীন সরকারের পক্ষে দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে, বর্তমানে যারা ভোটে বিশ্বাস করে না, জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না, তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে সম্ভব নয়।
গয়েশ্বর বলেন, সরকারের যে চরিত্র তাতে, তারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায় না, আসতেও চায় না। তাই তারা কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী এবং লুটপাটের জন্য ক্ষমতায় আছে। যার ফলে, জনগণের নীতি কথা তাদের কানে যায় না।