আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত করার প্রক্রিয়া ও নির্বাচন কমিশনের গেজেট প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার (১২ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিব্রত প্রকাশ করেন।

রোববার রিটটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে। তবে বেঞ্চের বিচারপতি আহমেদ সোহেল এ বিষয়টি শুনানি করতে বিব্রত বোধ করেন।

বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। তাই বিষয়টি সে সংশ্লিষ্ট হওয়ায় তিনি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। একপর্যায়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেয়ার আদেশ দেন। এসময় আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারি আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। সে রিটে নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এই রিটে বিবাদী করা হয়।

এম এ আজিজ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে এবং পরে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করেই রিটটি করা হয়েছে।’ রিট দায়ের করার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে এ আইনজীবী বলেন, রাষ্ট্রপতি বাছাই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হয়নি। যাচাই-বাছাই ঠিকমতো হলে মোঃ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হতো না। কারণ মোঃ সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার ছিলেন। দুদক আইন ২০০৪-এর ৯ ধারা অনুসারে দুদকের সাবেক কমিশনার লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন না। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামি ২৩ এপ্রিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হলে মো. সাহাবুদ্দিন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য এ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন