আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ পেরেরাকে ফেরালেন নাসুম

তাসকিনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। এর প্রতিদান দিতেও দেরি করলেন না তিনি। ১৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার ওপেনার অভিজ্ঞ কুশল পেরেরাকে বোল্ড করে ফেরালেন তিনি। প্রথম ওভারে পেরেরার বিদায়ের পর লঙ্কানদের সংগ্রহ ৪ রান। 

রোববার (২৪ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারাজায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। 

স্কোর: 

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৭১/৪ রান ( মোহাম্মদ নাঈম ৬২, মুশফিকুর রহিম ৫৭*, লিটন দাস ১৬, সাকিব আল হাসান ১০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০*, আফিফ হোসেন ৭)।
 
টস হেরে ব্যাটিংয়ের নেমে সতর্ক শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ। তবে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তারা। তাতে দারুণ সূচনা পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রান তুলে ফেলে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে হঠাৎ খেই হারিয়ে লাহিরু কুমারার বলে সাজঘরে ফেরেন লিটন।

ক্রিজে এসে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। চামিকা করুনারত্নের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ ব্যাটিং স্তম্ভ। এর আগে ১০ রান করেন সাকিব।

তৃতীয় উইকেটে নাঈম-মুশফিককে নিয়ে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১২৯ রানে ফার্নান্দো নিজের বলে ক্যাচ ধরে ৫২ বলে ৬ চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশত করা নাঈমকে ( ৬২) ফেরান। দুই বছর পর টি-টোয়েন্টিতে অর্ধশত তুলে নেন মুশফিক।  ৩ নভেম্বর ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন তিনি। সে ম্যাচে মুশি ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক আফিফকে নিয়ে ২১ রান করেন। আফিফ রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। 

পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে মুশফিক ২১ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৩৭ বলে ২ ছয় ও ৫ চারের সাহায্যে ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদউল্লাহ করেন ১০ রান। 

শ্রীলঙ্কার হয়ে করুণারত্নে, ফার্নান্দো ও লাহিরু প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন