আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র নিশ্চুপ নেই : হাইকোর্ট

দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র নিশ্চুপ নেই মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। 

সম্প্রতি সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিটের শুনানিতে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রিট আবেদনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রের ব্যর্থতা ও  স্থানীয় প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। আমরা আবেদন থেকে এই শব্দগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাই। 

কারণ হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র বসে নেই। এ ঘটনায় কুমিল্লা, রংপুরে অনেক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে বা হচ্ছে যথাযথ পদক্ষেপও।  

এ সময় বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, মামলা হয়েছে, অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ অবস্থায়ও আমরা কি রাষ্ট্রকে দায়ী করতে পারি? এমন প্রশ্ন করেন তিনি।

পরে আদালত রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়াকে আবেদন সংশোধন করতে বলেন এবং আদেশের জন্য দুপুর ২টা ৩০ মিনিট সময় নির্ধারণ করে দেন।

এর আগে গেল ২১ অক্টোবর সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। দোষী করা হয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের। 

এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এমন সব ধরনের পোস্ট ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস এ রিট দায়ের করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের আইজি, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর ডিসি-এসপিসহ ১৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে সাম্প্রদায়িক হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে। 

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন