শীতে যেনো করোনা মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে
শীতের আগমনে দেশে আবারর করোনাভাইরাস যাতে মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী তার ত্রাণ তহবিলে কম্বল গ্রহণ কালে দেয়া ভাষণে একথা বলেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)-র দুঃস্থদের জন্য ২৬ লাখ ৪৫ হাজার কম্বল প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা দেয়ার পরে কারো করোনা হলে তার হয়তো ক্ষতির পরিমানটা বেশি হবে না, তবে, তার থেকে ছড়াতে পারে, তাই মাস্কটা ব্যবহার করতেই হবে। সবাইকে সতর্ক করার বিষয়ে প্রচার-প্রচারণাটা দরকার। একটু সতর্ক হলে এই করোনাভাইরাস আর বাংলাদেশের মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, দেখা যাচ্ছে যখনই আবার শীতকাল আসছে পৃথিবীর সবদেশেই কিন্তু আবার করোনাভাইরাস দেখা দিচ্ছে। ইউএসএ, ইংল্যান্ড বা ইউরোপের দেশগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশের সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আমি অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, শীতকাল আসলেই একটু ঠাণ্ডা লাগে, সর্দি, কাশি হয়। আর এটা হলেই এই করোনাভাইরাসটা আমাদের সাইনাসে গিয়ে বাসা বানাতে পারে। কাজেই, সেইদিকে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে এবং খাদ্য তালিকায় ‘ভিটামিন সি’ যাতে একটু বেশি থাকে এবং যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে নজর দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। টিকা সংগ্রহ করে সারাদেশে টিকদান অব্যাহত রয়েছে এবং আজকেও সারাদেশে ৮০ লাখ টিকাদানের কার্যক্রম চলছে। ছাত্র সমাজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি তাঁর সরকারের রয়েছে। কেউ বাদ যাবে না, নীতিমালা অনুযায়ী যারা টিকা পাবার যোগ্য বাংলাদেশের সেই সব মানুষই টিকা পাবে এবং আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় নাগাদ আমরা সকল মানুষকেই টিকা দিতে সক্ষম হব।
তিনি বলেন, করোনাকালে বিশ^ব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসলেও তার সরকার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশে কোনকিছু যাতে স্থবির না হয় এবং সচল থাকে। সেদিক থেকে আমি মনে করি বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের দুঃসময়ে সবসময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংক সব সময় এগিয়ে আসেন। এবারেও শীতার্ত জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ। দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই বড় কথা।
তিনি বলেন, যত বেশি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে তত বেশি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। নতুন বাজার সৃষ্টি হবে এবং আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো এবং বিশ^ দরবারে আমাদের একটা অবস্থান আমরা করে নেব। কারণ, আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি কাজেই সবসময় মাথা উঁচু করেই আমরা চলবো।