আমরা সড়কে একটি মৃত্যুও চাই না : ওবায়দুল কাদের
গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আমরা সড়কে একটি মৃত্যুও চাই না। মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা সড়কের জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি রোববারের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি মৃত্যুই বেদনার। আমরা সড়কে একটি মৃত্যুও চাই না। গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। সড়ক ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দুর্ঘটনা রোধে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’-এর অধীনে প্রণীত বিধিমালাও কার্যকর করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে পেশাজীবী গাড়িচালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬২ হাজার ৯০০ পেশাজীবী গাড়িচালককে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নকল্পে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নকালে বাধ্যতামূলকভাবে প্রার্থীদের ডোপটেস্ট সনদ/রিপোর্ট গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করছে। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে এবং মিথ্যা কথা বলতে বলতে বিএনপির অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে, বজ্রপাতে মৃত্যু হলেও তার দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপরাজনীতিতে লিপ্ত হয়। অথচ এই বিএনপির শাসনামলেই সড়ক যোগাযোগ খাত ছিল সবচেয়ে অবহেলিত। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার দেন এবং তার সুদক্ষ নেতৃত্বে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে। এ সত্যটি স্বীকার করতেও বিএনপি লজ্জা পায়।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় নিরাপদ সড়ক করিডোর বাস্তবায়ন, ৫ হাজার কিলোমিটার সড়কে নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ, পেশাদার চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ, ভেহিকল পরির্দশন কার্যক্রম আধুনিকীকরণ, তিনটি হাসপাতাল (মুগদা, টাঙ্গাইল এবং বগুড়া) ট্রমা সেন্টারের আধুনিকীকরণ, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ, ক্রাশ ডাটাবেজ সিস্টেম আধুনিকীকরণ করার লক্ষ্যে বহুমাত্রিক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি সড়কে চালক, পরিবহন শ্রমিক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহীত সব পদক্ষেপের জন্য সরকারকে সাধুবাদ না জানিয়ে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে শুধু সমালোচনার জন্য সরকারের সমালোচনা করে যাচ্ছে বিএনপি।