অবশেষে শক্তি ফিরে পেয়েছে ডলার
কিছুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের অবনমন ঘটছিল। অবশেষে শক্তি ফিরে পেয়েছে দেশটির মুদ্রা। আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন কারেন্সির দর বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গেলো শুক্রবার (২৪ মার্চ) ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৫৩৬ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৩ দশমিক ১৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এ পরিস্থিতিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মুদ্রা ইউরোর দরপতন হয়েছে শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ। প্রতি ইউরোর মূল্য স্থির হয়েছে ১ ডলার ০৭৫৩ সেন্টে।
ব্রিটেনের মুদ্রা স্টার্লিংয়ের মান পড়েছে শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ। স্টার্লিংপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১ ডলার ২২২ সেন্টে।
সম্প্রতি আকস্মিক বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক। এরই মধ্যে নাজুক হয়ে পড়ে ক্রেডিট সুইস। এ অবস্থায় সেটি কিনে নেয় ইউবিএস। এতে বিশ্বব্যাপী ব্যাংকের বাজে পরিস্থিতি সামনে আসে।
ধারণা করা হচ্ছে, সামনে আর্থিক খাত নিয়ে আরও খারাপ খবর আসবে। কারণ, এখন শত শত ব্যাংক ধুঁকছে।
এফএক্সস্ট্রিট ডটকমের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জোসেফ ত্রিবিশানি বলেন, যখন কোনো সমস্যা বড় আকার ধারণ করে; তখন মানুষ ডলারের পেছনে ছুটে। বহু বছর ধরে এ প্রথা চলে আসছে। আমি মনে করি, এখন সেটাই ঘটছে।