আর্কাইভ থেকে অপরাধ

চাকরি হারিয়েছেন মাদকাসক্ত ১১৬ পুলিশ 

২০২০ সালে পুলিশকে মাদকমুক্ত করতে ডিএমপিতে ডোপ টেস্ট (মাদকাসক্ত চিহ্নিতের পরীক্ষা) চালু হয়। ডোপ টেস্টে এ পর্যন্ত ১২৬ পুলিশ সদস্যের মাদক নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে বেশি পজিটিভ হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল।

শনাক্ত হওয়া ১২৬ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৯৮ জনই কনস্টেবল। একজন পুলিশ পরিদর্শক, ১১ জন এসআই, একজন সার্জেন্ট, সাতজন এএসআই ও আটজন নায়েক।

ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত চিহ্নিত হওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১১৬ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

এদের মধ্যে আটজনের বিচার প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই একজন মারা গেছেন। অন্যজন অবসরে চলে যান।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডোপ টেস্টে ১২০ জন পুলিশ সদস্যকে মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয়জন পুলিশ সদস্য মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হন।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বাংলাদেশ পুলিশই প্রথম ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ সদস্যদের যাকেই সন্দেহ হয়েছে তারই ডোপ টেস্ট (মাদকাসক্তি পরীক্ষা) করানো হয়েছে। ডোপ টেস্টে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতিসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনও সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যকে এই ডোপ টেস্ট করা হয়। অনেকের চাকরি চলে যাওয়ায় পুলিশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কমে গেছে। এই ডোপ টেস্ট অব্যাহত থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন