আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে বিদায় করে সেমির পথে দক্ষিণ আফ্রিকা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের আগের ৩ ম্যাচের ২ ম্যাচেই জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিল তারা। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেই পথে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। সেই সঙ্গে সেমির ক্ষীণ স্বপ্নও ধূলিসাৎ হলো টাইগারদের।

স্বল্প রান তাড়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সূচনাতেই হোঁচট খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রেজা হেনড্রিকসকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। ওয়ানডাউনে নেমে কুইন্টন ডি কককে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। তবে হঠাৎ মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ডি কক। এরপর এইডেন মার্করামকে দ্রুত তুলে নেন তাসকিন। ফলে প্রোটিয়াদের স্কোর দাঁড়ায় ৩৩/৩।ততক্ষণ পর্যন্ত খেলায় ছিল বাংলাদেশ।
 
তবে ডুসেনকে নিয়ে শক্ত জুটি গড়েন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।শেষদিকে ২৭ বলে ২২ রান করে ফেরেন ডুসেন।ততক্ষণে জয় হাতছোঁয়া দূরত্বে তাদের। পরে ৪ মেরে ফিনিশিং দেন ডেভিড মিলার। তিনি ৫ ও বাভুমা ২৮ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন তাসকিন।      

এ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু করেন লিটন দাস ও নাঈম শেখ। তবে প্রথমবার হাত খুলতে গিয়েই কাগিসো রাবাদার বলে রেজা হেনড্রিকসের হাতে ধরা পড়েন নাঈম। পরের বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সৌম্য সরকার।

সেই রেশ না কাটতেই চিরাচরিত নিয়মে স্লিপে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম। তাকেও শিকার করেন রাবাদা। নাঈম বাদে দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। এতে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই জায়গায় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অ্যানরিখ নরকিয়ার বলে সাজঘেরে ফেরেন তিনি। পরক্ষণেই ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলি হন আফিফ হোসেন। তিনিও রানের দেখা পাননি।

এরই মধ্যে তাবরাইজ শামসির এলবিডব্লিউ হন লিটন। রাত তুলতে যা একটু চেষ্টা করেন তিনিই। তবে ৩৬ বলে ২৪ রান করে লিটন ফিরতেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশ। পরে এখান থেকে কেউই ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। শামসির বলে অভিষিক্ত শামীম হোসেনও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দ্রুত। এ চাপে রানআউটে কাটা পড়েন তাসকিন আহমেদ।
 
তবে শেষদিকে লড়ার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান। তাতে সম্মান বাঁচে বাংলাদেশের। নরকিয়ার বলে ফেরার আগে তিনি করেন দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৭ রান। তার বলেই নাসুম আহমেদ হিট উইকেট হয়ে ফিরলে ১৮.২ ওভারে ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের হয়ে টাইগারদের গুঁড়িয়ে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রাবাদা। তাকে যোগ্য সমর্থন দেন নরকিয়া। উভয়ই ঝুলিতে ভরেন ৩টি করে উইকেট।   

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন