হাদির জনপ্রিয়তার কারণেই ষড়যন্ত্র করে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে: জামায়াত আমির
জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শরীফ ওসমান বিন হাদির জনপ্রিয়তাই সম্ভবত কেউ কেউ সহ্য করতে পারেনি। এজন্যই তারা ষড়যন্ত্র করে হাদিকে সরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিপ্লবীদের খুন করে তাদের চেতনাকে হত্যা করা যায় না। তা আরও ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ফজর নামাজের পর শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, হাদির দুশমনেরা কার্যত বাংলাদেশেরই দুশমন। কারণ হাদিরা বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে ছিল। চব্বিশের জুলাইয়ের আপনজন শরীফ ওসমান বিন হাদি। তিনি আজীবন ইনসাফ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমতবের কথা বলে গেছেন। হাদিরা আপন সংস্কৃতির কথা বলতো। তার উচ্চারণ ছিল অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে। কোটি তরুণের প্রাণে দ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, এই দেশ, এই জাতি আমাদের; দেশ এবং জাতির পাহারাদারি আমাদেরই করতে হবে। কোনো কালো চিলকে আমাদের ভাগ্যে আর চুরমারের সুযোগ দেব না। এটাই ছিল তাদের অঙ্গীকার। তারা বলেছিল জীবন দেব তবুও ‘চব্বিশ’ দেব না। এটা কেন বলেছিল আমরা সবাই বুঝি। এটাই তাদের অপরাধ? তারা কারো দিকে অন্যায়ের হাত বাড়ায়নি। কারোর ওপর জুলুম করেনি।
জামায়াত আমির বলেন, হাদি আজীবন ইনসাফের কথা বলেছে। এমনকি এটাও বলেছে যে আমি কোনো শত্রুর ওপরেও বেইনসাফি করতে চাই না এবং কেউ বেইনসাফি করুক সেটাও আমরা দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, যারা বিপ্লবী তাদের খুন করে বিপ্লবের চেতনাকে খুন করা বা দমানো যায় না। বরঞ্চ সেই চেতনা আরও ছড়িয়ে পড়ে। গতকালকের জানাজা সারা দুনিয়া প্রত্যক্ষ করেছে এবং আমরা মনে করি সারা দুনিয়ায় জানাজার সঙ্গে মানসিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল।
সরকার এ পর্যন্ত যা করেছেন তাতে জনগণ মোটেই সন্তুষ্ট না দাবি করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জনগণের দাবি আশা করি প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টামণ্ডলি সেখানে (হাদির জানাজা নামাজ) উপস্থিত ছিলেন তারা বুঝতে পেরেছেন। অতি দ্রুত সমস্ত সন্দেহ-সংশয়ের বাইরে এসে খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে। যদি খুনিরা পার পেয়ে যায় তাহলে আপনার আমার কারো জীবন নিরাপদ করা যাবে না।
এ সময় আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে জামায়াত আমির।
এসি//