আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ফোনে হ্যালো নয় বলুন জয় বাংলা: মমতা

জয় বাংলা স্লোগানকে নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনে প্রতিটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বারবার শোনা যাচ্ছে এই স্লোগান।

জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে বাংলা জানায়, বুধবার হুগলির জনসভায় বারবার মমতার মুখে উঠে আসে এই স্লোগান। তিনি বললেন, আপনারা ফোন করার সময় হ্যালো বলবেন না। বলুন জয় বাংলা। আবার ফোনে কথা শেষ হওয়ার পর বলুন জয় বাংলা।

ডয়চে ভেলে আরও জানায়, জয় বাংলাকে তৃণমূলের প্রধান সম্ভাষণ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্লোগানে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গের ভোটে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ধ্বনি। খেলা হবে আগেই প্রায় থিম সং করে ফেলেছে তৃণমূল। এবার বিজেপি-র মোকাবেলায় জয় বাংলাকেও আঁকড়ে ধরেছে তারা।

তবে সমালোচকরা বলছে, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রেরণা যে ধ্বনি ছিল, সেই জয় বাংলা এখন পশ্চিমবঙ্গের মহারণে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার অন্যতম রাজনৈতিক হাতিয়ার। কিছুদিন ধরে বিধানসভা নির্বাচনকে বাঙালি বনাম অবাঙালিতে পরিণত করতে চাইছেন মমতা। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের নেত্রী মমতা বনাম বাইরের রাজ্য থেকে আসা বিজেপি নেতাদের লড়াই। পুরো পশ্চিমবঙ্গকে সাতটি ভাগ করে প্রতিটির দায়িত্ব একজন অবাঙালি নেতাকে দিয়েছেন মোদী- শাহ। এরপরই বাঙালি বনাম অবাঙালি প্রচারে আরও সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল।

এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই পরিণত হয়েছে জয় বাংলা বনাম জয় শ্রীরামে৷ বিজেপির দিকে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল নেতারা বলছে, বাংলার বিজেপিতে দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় বা বাঙালি নেতারা থাকতে বাইরের রাজ্যে কেন দায়িত্ব দেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা?

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন