আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রাবাদার হ্যাটট্রিকে প্রোটিয়াদের জয়, সেমিতে অজিরা

সেমিফাইনাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছিল ইংল্যান্ডের স্কোর ১৩০ রান পার হওয়ার পরই। তারপরও অপেক্ষা ছিল ইংল্যান্ডকে অন্তত একটি ম্যাচে হারের স্বাদ দেয়ার। অবশেষে শেষ ওভারে রাবাদার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ভর করে ইংলিশদের বিশ্বমঞ্চে প্রথম হারের স্বাদ দিল প্রোটিয়ারা। কাঙ্ক্ষিত জয় পেলেও আক্ষেপ সেমিতে খেলতে না পারার। 

শেষ ওভারের প্রয়োজনীয় ১৪ রান আর তুলতেই পারল না ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের আগে তাতে প্রোটিয়ারা পেল ১০ রানের সান্ত্বনার জয়। শেষ হইয়াও হইল না শেষ হওয়া রোমাঞ্চটাই শেষ ওভারে বাড়ান কাগিসো রাবাদা। ভয়ংকর হয়ে ওঠা ক্রিস ওকসকে ফেরালেন, এরপরের দুই বলে অইন মরগ্যান আর ক্রিস জর্ডানকেও।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতেছিল ইংলিশরা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক মরগ্যান। শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। ওপেনার রিজা হেনড্রিকসকে ১৫ রানেই হারিয়ে ফেলেছিল দলটি। এরপরই ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। ওপেনার ডি ককের সঙ্গে তিনে নামা ফন ডার ডাসেন গড়েন ৭১ রানের জুটি। ৮৬ রানে ডি কক ফেরেন, তবে বড় স্কোরের ভিতটা ততক্ষণে গড়া হয়ে যায় প্রোটিয়াদের। 

ডি ককের ফেরার পর মাঠে আসেন মার্করাম। খেলেন ২৫ বলে ৫২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। অন্যপাশে ডাসেনও ব্যাট চালিয়েছেন দারুণভাবেই। দুজনের জুটি তিন অঙ্কে পৌঁছে যায় মাত্র ৫১ বলেই। যাতে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ দশ ওভারে পায় ১১৬ রান, ইনিংস শেষ করে দুই উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান নিয়ে।

ব্যাটারদের মতো বোলাররা শুরুটা ভালো করতে পারেনি। পাওয়ারপ্লেতেই ইংল্যান্ড তুলে ফেলে ৬০ রান। দুই ইংলিশ ওপেনার এ সময় ফিরে গেছেন বটে, তবে প্রোটিয়াদের অর্জনের খাতায় উঠেছে কেবল একটা উইকেটই, জেসন রয় যে ফিরেছিলেন 'আহত অবসর' হয়ে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আনরিখ নরকিয়া ফেরান জস বাটলারকে। পাওয়ারপ্লের পর প্রথম ওভারে জনি বেয়ারস্টো ১ রানে বিদায় নিলে শঙ্কাও কি কিছুটা ঘিরে ধরেনি ইংলিশদের? ৯৩ রানের নিচে অলআউট হলেই যে অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিতে তুলে দিয়ে বিদায় নিত ইংল্যান্ড! 

তিনে নামা মঈন আলী আর পাঁচে আসা মালান অবশ্য তা হতে দেননি। ২৭ বলে ৩৭ রান করে মঈন যখন ফিরছেন ইংলিশদের বিদায়ের শঙ্কা তখন মিশে গেছে আরব সাগরে। এরপর দাভিদ মালান, লিয়াম লিভিংস্টোনের জুটিতে ইংল্যান্ড পার করে ১৩২ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার সেমিফাইনালের ক্ষীণ আশাও শেষ হয় তখন। দুজন ফেরেন শিগগিরই, তাদের পর মরগ্যানের ক্যামিওতে জয়ের দিকে এগোতে থাকে ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

হয়তো জিতেও যেত, যদি রাবাদা শেষ ওভারে পথ আগলে না দাঁড়াতেন। তাতে দশ রানে হারে দলটি, দক্ষিণ আফ্রিকা পায় সান্ত্বনার জয়। 

তবে এই জয়কে ‘সান্ত্বনারও’ বলা যাচ্ছে না ঠিক। সেমিফাইনালের সব আশা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যেভাবে লড়েছে প্রোটিয়ারা, তুলে নিয়েছে জয়, তাতে একে 'মাথা উঁচু করা' বিদায় বলাটাই বোধ হয় বেশি যৌক্তিক হয়। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন