আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ মে

নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

এদিন কোনো সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার শাহরিয়ার আলম।

এর আগে গেলো ৮ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। ওইদিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

অপর ৪ আসামি হলেন, এরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মিজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপুও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মিজানুর ও দীপু জামিনে আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় নৌ-কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন