আর্কাইভ থেকে এশিয়া

এমবিএসের বিমানে তুরস্কে গিয়ে খাশোগিকে হত্যা করে ঘাতকরা: সিএনএন

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানির একটি ব্যক্তিগত জেট বিমানে করে রিয়াদ থেকে ইস্তাম্বুলে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা সৌদি সাংবাদিক সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকারী দল। বৃহস্পতিবার সৌদি সরকারের গোপন নথির তথ্য উল্লেখ করে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন।

এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানায়, কানাডায় নির্বাসিত সাবেক সৌদি গোয়েন্দা প্রধান সাদ আল-জাবরির বিরুদ্ধে কানাডার এক আদালতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক মামলায় দাখিল করা প্রামাণ্য দলিল থেকে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। সৌদি মন্ত্রী মোহাম্মদ আল-শেখের স্বাক্ষরিত সর্বোচ্চ গোপনীয় শিরোনামের এই দলিলে স্কাই প্রাইম এভিয়েশন নামে কোম্পানিটির হস্তান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইস্তাম্বুলে খাশোগিকে হত্যার এক বছর আগে ২০১৭ সালে কোম্পানিটি হস্তান্তর করা হয়।

গেল বছর সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে সাদ আল-জাবরিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করলে কানাডায় তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়।

২০১৭ সালে সৌদি আরবের সরকারি বিনিয়োগ তহবিলের কাছে স্কাই প্রাইম অ্যাভিয়েশনের মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে সার্বভৌম ৪শ’কোটি ডলারের তহবিল রয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে খাশোগি হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে ওই কোম্পানির বিমান। সৌদি রাজ পরিবারের মাধ্যমে সার্বভৌম তহবিল নিয়ন্ত্রিত হয়। এর সভাপতি ৩৫ বছর বয়সী যুবরাজ বিন সালমান।

২০১৯ সালে পাবলিক এভিয়েশন ডাটার উদ্বৃতি দিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কাই প্রাইম এভিয়েশনের এইচজেড-এসকে ওয়ান ও এইচজেড-এসকে টু নাম্বারের দুইটি প্রাইভেট জেট ব্যবহার করে রিয়াদ-ইস্তাম্বুল যাতায়াত করে ঘাতক দলের ১৫ সদস্য।

সিএনএন জানায়, এসব তথ্য থেকে খাশোগি হত্যায় এমবিএস যুক্ত থাকার প্রমাণ মেলে। এমবিএস হচ্ছে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ।

এর আগে, এক প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি-সিআইএ জানিয়েছিল, সৌদি যুবরাজের নির্দেশেই খুন হন খাশোগি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন