আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য হত্যায় অভিযুক্ত আরিফ গ্রেপ্তার

গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য আবদুর রউফকে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরিফ মিয়াকে (২৭) গ্রেপ্তার করছে র‌্যাব।

রোববার (১৪ নভেম্বর)গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ।

অভিযুক্ত আরিফ মিয়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের মাগুরের কুটি গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।

মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আরিফ মিয়া পলাতক ছিল। গেল রাতে তাকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গতকাল রাতে নিহত রউফের বড় বোন মমতাজ বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন । মামলায় আরিফ মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া ছয় থেকে সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলা হওয়া ও প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুর রউফ। তিনি বলেন, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্যপদে নির্বাচিত হন আবদুর রউফ। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে প্রতিবেশী রুহুল আমিনের মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। তাঁরা একই ইউনিয়নের বামুনিরপাড়া এলাকায় একটি বিধ্বস্ত সেতু পায়ে হেঁটে পার হচ্ছিলেন। রুহুল আমিন মোটরসাইকেল হাতে সামনে এবং আবদুর রউফ তাঁর পেছনে হেঁটে যাচ্ছিলেন।এ সময় লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুড়াকুটি গ্রামের আরিফ পেছন থেকে রউফের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। একপর্যায়ে আরিফ ধারালো অস্ত্র দিয়ে পেছন থেকে রউফকে কোপাতে থাকেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে আরিফ পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় রউফকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহত আবদুর রউফ লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুড়াকুটি গ্রামের মৃত ফজলু হকের ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন