বায়ার্নকে বিদায় করে রিয়ালের সামনে সিটি
ম্যানচেস্টার সিটিকে টপকিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের সেমিফাইনালে উঠার লড়াইটা ছিল পাহাড় টপকানোর মতোই কঠিন। তাই তো ম্যাচের আগে বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল বলেছিলেন ‘মিরাকল’ কিছুর আশায় আছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত কোন মিরাকল ঘটলো না। বিদায় নিতেই হলো বাভারিয়ানদের। আর সেমিফাইনালে পা রাখলো সিটিজেনরা। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাতের ম্যাচটিতে ইতিহাদে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থাকা বায়ার্ন, নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় অবশ্য পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ উৎরাতে যে তীব্রতার প্রয়োজন, শুরু থেকেই বায়ার্নের ফুটবলে তার দেখা পাওয়া যায়। অধিকাংশ সময় বল নিজেদের আয়ত্তে রেখে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। ১৭ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে সুবর্ণ সুযোগও পায় বায়ার্ন। কিন্তু সতীর্থের থ্রু পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে এডারসনকে একা পেয়েও লেরয় সানের শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৩৫ মিনিটে ডি-বক্সের ভিতরে উপামেকানোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন হলান্ড। সর্বশেষ ১৫টি পেনাল্টিতে গোল পাওয়া সিটি তারকা বল মেরে দেন বারের ওপর দিয়ে।
গোল শূন্য সমতায় থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর আবার গোলের সুযোগ পায় হলান্ড। ৫৫ মিনিটে বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সোমেরকে একা পেয়ে যান তিনি। তবে সোজাসুজি দুর্বল শট নিয়ে এই সুযোগটিও নষ্ট করেন। এর কিছুক্ষণ পরই অবশ্য খুজে পান জালের দেখা। প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে প্রথমে কেভিন ডি ব্রুইনাকে দেন হলান্ড। ফিরতি বল নিয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে সোমেরকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বায়ার্ন সান্ত্বনার একটি গোল পায় খেলার শেষ দিকে। ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন জশুয়া কিমিখ।