আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ৭২ ঘণ্টা বাদ

রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যায় পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছিলেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত।

আলোচিত এ মামলার রায়ে মৌখিকভাবে পর্যবেক্ষণও দিয়েছিলেন বিচারক। সেই পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন ৭২ ঘণ্টা পর থানায় ধর্ষণ মামলা না নিতে। তবে লিখিত রায়ে এ পর্যবেক্ষণ বাদ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে ওই ধর্ষণ মামলার লিখিত রায় প্রকাশ হয়।

এর আগে সোমবার এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রধান বিচারপতি এবং আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বিশ্লেষণের জন্য এই মামলার সব তথ্যপ্রমাণ নিম্ন আদালত থেকে নিজ আওতায় নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। 

গেলো ১১ নভেম্বর হোটেল রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার। রায়ে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন। এসময় তিনি পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন ৭২ ঘণ্টা পর থানায় ধর্ষণ মামলা না নিতে।

এতে ব্যাপক সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে। পরে ১৪ নভেম্বর তার বিচার ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করতে চিঠি পাঠিয় সুপ্রিমকোর্ট।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন